পুজো স্পেশাল বিভাগে ফিরে যান

ভাণ্ডানি পুজো রাজবংশী সম্প্রদায়ের পুজো হলেও বর্তমানে আনন্দে মেতে ওঠে সকল সম্প্রদায়ের মানুষ

September 29, 2024 | < 1 min read

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: দুর্গাপুজোর পাশাপাশি ধূপগুড়ির গধেয়ারকুঠি, পূর্ব শালবাড়ি, নাথুয়া এলাকার প্রান্তিক গ্রামগুলিতে এখন দেবী ভাণ্ডানি পুজোর প্রস্তুতি চলছে। এর মধ্যে গধেয়ারকুঠির পুজো প্রায় দু’শো বছরের পুরনো। ধূপগুড়ির পাশাপাশি ময়নাগুড়ির বেশ কয়েকটি গ্রামেও এই পুজোর প্রস্তুতি তুঙ্গে।

মূলত ভাণ্ডানি পুজো রাজবংশী সম্প্রদায়ের পুজো হলেও বর্তমানে এই পুজোকে ঘিরে আনন্দে মেতে ওঠে সকল সম্প্রদায়ের মানুষ। কথিত আছে, দশমীতে বিসর্জনের পর বাপের বাড়ি থেকে উমা উত্তরবঙ্গের বনাঞ্চলের মধ্যে দিয়ে গ্রাম্যবধূ বেশে কৈলাসে ফিরছিলেন। কিন্তু, রাতের অন্ধকারে অরণ্যের ভিতর দিয়ে যেতে গিয়ে পথভ্রষ্ট হয়ে পড়েন। পথভ্রষ্ট গ্রাম্যবধূর কান্নার শব্দ শুনে ছুটে আসেন রাজবংশী সমাজের কিছু লোক। তাঁরা তাঁকে নিয়ে যান নিজেদের গ্রামে। দেবী সেই রাত ওই গ্রামে কাটিয়ে একাদশীর দিন ফিরে যান কৈলাসে। গ্রামবাসীদের আতিথ্যে তুষ্ট হয়ে যাওয়ার আগে দেবী নিজের প্রকৃত পরিচয় দেন এবং গ্রাম-বাংলার মানুষের শস্যের ভাণ্ডার সর্বদা পূর্ণ থাকার বর দিয়ে যান।

সেই থেকেই ভাণ্ডানি পুজোর সূচনা হয়ে আসছে বলে জানিয়েছেন রাজবংশী লোকসাংস্কৃতিক গবেষক রতনচন্দ্র রায়। তবে এখানে উমা দশভূজা হন না। এখানে উমা চতুর্ভুজা। তাঁর সঙ্গে থাকেন সরস্বতী, লক্ষ্মী, কার্তিক ও গণেশ।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#West Bengal, #Dhupguri, #Bhandani pujo

আরো দেখুন