রাজ্য বিভাগে ফিরে যান

বিনা লড়াইয়েই আত্মসমর্পণ! মাদারিহাটে জোড়াফুল ফোটা সময়ের অপেক্ষা মানছে খোদ BJP নেতৃত্বও

November 9, 2024 | 2 min read

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: শিয়রে উপনির্বাচন। সিতাই ও মাদারিহাট আসনে বিধানসভা উপনির্বাচনের আগেই হাল ছেড়ে দিয়েছে বিজেপি। ছন্নছাড়া বিজেপি রীতিমতো কোণঠাসা। আলিপুরদুয়ারের প্রাক্তন বিজেপি সাংসদ, চা বলয়ের নেতা জন বার্লা বেসুরো গাইতেই কোমায় চলে গিয়েছে গেরুয়া শিবির।

সিতাইয়ে বিজেপি হেভিওয়েট নেতাদের একের পর এক সভা ফ্লপ হচ্ছে। বিজেপির গড় বলে পরিচিত মাদারিহাটকে টার্গেট করেছেন বিজেপির রাজ্যস্তরের নেতারা। আসন ধরে রাখতে প্রাণপাত করলেও খুব একটা লাভ হবে বলে মনে করছেন না দলের একাংশ। জনতার দরবারে গিয়ে প্রার্থীকে জেতানোর আবেদন করলে পাল্টা প্রশ্ন ধেয়ে আসছে গেরুয়া নেতাদের দিকে। আম জনতা বলছে, দু’বার বিজেপির প্রার্থীকে জিতিয়েছি। কী করেছেন তিনি? উত্তর নেই বিজেপির কাছে। কোচবিহার দক্ষিণের বিধায়ক নিখিলরঞ্জন দে ও মাথাভাঙার বিধায়ক সুশীল বর্মনকে বিজেপি মাদারিহাটের দায়িত্ব দিয়েছে। অন্য হেভিওয়েটরাও ঘাঁটি গেড়েছেন সেখানে।

আলিপুরদুয়ার জেলা বিজেপির সভাপতি তথা সাংসদ মনোজ টিগ্গার দাবি, মাদারিহাট রক্ষা করতে গিয়ে সিতাইয়ের দিকে নজর না দেওয়ার কথা ঠিক নয়। আদপে সিতাইয়ে যেন লড়াইয়ের আগে হাল ছেড়ে বসে রয়েছে বিজেপি। তৃণমূলের জেলা নেতৃত্ব নিয়মিত অঞ্চলে অঞ্চলে প্রচার করছে। জেলায় বিজেপির ছয় বিধায়ক থাকলেও, তাঁরা নিয়মিত প্রচারে নেই। জনসমর্থন না থাকায় বড় সভা করার সাহসই পাচ্ছে না গেরুয়া শিবির। দলের রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার ও বিরোধী দলনেতা উত্তরবঙ্গে প্রচারে এসেছেন। দু’জনের কেউই সিতাই কেন্দ্রে পা রাখেননি। কর্মীদের মধ্যেও প্রচারে যাওয়ার প্রবল অনীহা দেখা যাচ্ছে। শুধুমাত্র দিলীপ ঘোষ বুধবার এখানে সভা করেছেন। একাধিক পথসভায় লোক ছিল হাতে গোনা।

বিজেপির মুখ থুবড়ে পড়া অবস্থা দেখে কটাক্ষ করেছে তৃণমূল। কোচবিহারের সাংসদ জগদীশচন্দ্র বর্মা বসুনিয়ার ব্যঙ্গ, সিতাইকে মনে হয় বিজেপি আগে থেকেই হিসেবের খাতা থেকে বাদ রেখেছে। তাঁর কথায়, “বিজেপিকে সেভাবে ময়দানে দেখছি না। হার নিশ্চিত জেনে এদিকে আর সময় নষ্ট করতে চাইছে না।”

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#West Bengal, #bjp, #Madarihat, #BJP Leadership

আরো দেখুন