রবীন্দ্র সরোবরের দ্বীপ সংস্কারের জন্য অভিনব পরিকল্পনা KMDA-এর

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: দক্ষিণ কলকাতার ফুসফুস বলা হয় রবীন্দ্র সরোবরকে। আর সেখানে এখন নানা সমস্যা তৈরি হয়েছে। এখানে বেশ কয়েকটি গাছ আছে যেগুলি ভেঙে পড়েছে। আবার রাস্তা যা রবীন্দ্র সরোবরের মধ্যে রয়েছে সেগুলি অনেক জায়গায় ভাঙা। তাই মেরামত করা প্রয়োজন। বসার জন্য বহু আসন আছে যা ভাঙাচোরা। আর তার মধ্যে একটি দ্বীপ আছে যেটা রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে নষ্ট হতে বসেছে।
ঢাকুরিয়া স্টেশন থেকে বেরিয়ে সরোবরের দিকে গেলেই জলের মাঝে সেই দ্বীপ সবারই নজর টানে। একসময় সতেজ-সবুজ হয়ে থাকা সেই দ্বীপ এখন প্রায় পুরোটাই শুকিয়ে বিবর্ণ হয়ে রয়েছে। মরে গিয়েছে প্রচুর গাছ। যে ক’টি গাছ আছে, সেগুলির পাতা ভরে গিয়েছে পাখির বিষ্ঠায়। এমনই দাবি কলকাতা মেট্রোপলিটন ডেভেলপমেন্ট অথরিটির(কেএমডিএ) কর্তাদের। তাই সরোবরের মাঝের ওই দ্বীপকে পুনরায় সতেজ ও সবুজ করে তুলতে বিশেষ পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে কেএমডিএ। ঠিক হয়েছে, সিড বল অর্থাৎ উদ্ভিদের বীজ এবং সার মিশ্রিত গোলাকৃতি বস্তু সেখানে ফেলা হবে। তা থেকেই জন্মাবে নতুন গাছ। তবে এই পরিকল্পনা কবে বাস্তবায়িত হবে, তা এখনও চূড়ান্ত হয়নি।
রবীন্দ্র সরোবরের জলাশয়ের মধ্যে ছোটবড় মোট চারটি স্থলভূমি রয়েছে। তার মধ্যে ঢাকুরিয়ার দিকে থাকা এই দ্বীপটিতে কোনওদিন মানুষের পা পড়েনি। সারা বছর প্রচুর পাখির দেখা মেলে সেখানে। শীতে বহু পরিযায়ী পাখির আস্তানা হয়ে ওঠে জায়গাটি। গত কয়েক বছর ধরেই দেখা যাচ্ছে, সেখানকার গাছগুলি একে একে মরে যাচ্ছে। শুকিয়ে যাচ্ছে ডালপালা। তৈরি হয়েছে আগাছার জঙ্গল, ঝোপঝাড়। সেই সঙ্গে বিষাক্ত সাপের আনাগোনা। জলের ধাক্কায় দ্বীপের ধারে ধারে কিছু অংশ ভেঙেও গিয়েছে।
কেএমডিএর এক কর্তা বলেন, ‘ওখানে প্রচুর পাখি আসে। বছরের পর বছর ধরে পাখির বিষ্ঠা পাতায় পড়ার ফলে অনেক গাছ নষ্ট হয়ে গিয়েছে। তবে ওখানে এখনও প্রচুর সাপ, বিষাক্ত পোকামাকড় রয়েছে। ফলে ওখানে মানুষ নামিয়ে আগাছার জঙ্গল পরিষ্কার বা নতুন গাছ লাগানো সম্ভব নয়। তাই সেখানে নতুন গাছপালা লাগানোর জন্য বিশেষ পরিকল্পনা করা হয়েছিল। ঠিক হয়েছিল, নৌকায় গিয়ে দ্বীপের কাছাকাছি জায়গা থেকে সিড বল ছুড়ে দেওয়া হবে ওখানে। সেখান থেকেই বহু গাছ জন্মাবে। এর জন্য একটি প্রজেক্ট রিপোর্টও তৈরি হয়েছিল। কিন্তু সেই পরিকল্পনা গত কয়েক বছরেও দিনের আলো দেখেনি। সেই পরিকল্পনার বাস্তবায়নে ফের নতুন করে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।’