রিঙ্কু মজুমদারের ছেলের ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্টে অস্বাভাবিক মৃত্যু বা খুনের সম্ভাবনা খারিজ
দিলীপ ঘোষের স্ত্রী রিঙ্কু মজুমদারের পুত্র প্রীতম দাশগুপ্ত ওরফে সৃঞ্জয়ের মৃতদেহের ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্টে এমনই তথ্য উঠে এসেছে।

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: দিলীপ ঘোষের স্ত্রী রিঙ্কু মজুমদারের ছেলে সৃঞ্জয় দাশগুপ্তের মৃত্যুতে খুনের তত্ত্ব খারিজ হয়ে গেল ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্টে। হৃদযন্ত্র, লিভার, কিডনি আকারে বড় বলে উল্লেখ রয়েছে ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্টে। রক্তচাপের সমস্যা থাকলে এই লক্ষণগুলি দেখা যায়।
বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষের স্ত্রী রিঙ্কু মজুমদারের পুত্র প্রীতম দাশগুপ্ত ওরফে সৃঞ্জয়ের মৃতদেহের ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্টে এমনই তথ্য উঠে এসেছে। এদিন বিকাল ৪.৪৫ মিনিটে শুরু হয় ময়নাতদন্ত। ময়নাতদন্তের ৬ থেকে ৭ ঘণ্টা আগে মৃত্যু হয়েছে প্রীতমের।
ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে, অ্যাকিউট হ্যামারেজিক প্যানক্রিয়াটাইটিসে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে সৃঞ্জয়ের। তাঁর হৃদযন্ত্র, লিভার ও কিডনি স্বাভাবিকের থেকে বড়। তবে তাঁর দেহে কোনও আঘাতের চিহ্ন পাননি। ফলে ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্টে অস্বাভাবিক মৃত্যু বা খুনের সম্ভাবনা খারিজ করে দিয়েছেন চিকিৎসকরা।
সৃঞ্জয়ের মা রিঙ্কুদেবী জানিয়েছেন, ছেলে কয়েক বছর আগে মাথা ঘুরে পড়ে গিয়েছিল। তার পর থেকে নার্ভের ওষুধ খেত সে। রবিবার মাদার্স ডে উজ্জাপন করতে মায়ের কাছে যান তিনি। সঙ্গে নিয়ে যান কেক ও উপহার। তখনও সৃঞ্জয়ের মধ্যে কোনও অস্বাভাবিকতা দেখতে পাননি তিনি।
মঙ্গলবার রিঙ্কুর আগের পক্ষের একমাত্র ছেলের নিউটাউনে শাপুরজি আবাসন থেকে দেহ উদ্ধার হয়। বিধাননগর কমিশনারেটের অন্তর্গত টেকনো সিটি এলাকার শাপুরজির একটি আবাসনে বাস করতেন ২৭ বছরের প্রীতম ওরফে সৃঞ্জয়। বেসরকারি তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থায় কর্মরত ছিলেন তিনি।
এদিন সকালে আবাসন থেকে অচৈতন্য অবস্থায় উদ্ধার করা হয় তাঁকে। সেই অবস্থায় টাটা মেডিক্যাল সেন্টারের পাশে অবস্থিত, নিউ টাউন থানার উল্টো দিতের ওহিয়ো হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা।