পর্যটন শিল্পকে নতুন করে গড়ে তোলার দিশা কী?
গোটা বিশ্বজুড়ে ২০১৯ সালে পর্যটন ক্ষেত্রে যে জোয়ার এসেছিল, ঠিক সে ভাবেই ২০২০ সালে করোনার প্রকোপে এই ক্ষেত্রের শিড়দাঁড়াটাই ভেঙে গেল। বিশেষ করে ছোট ছোট দ্বীপ দেশগুলি, যাদের মূল রোজগারই পর্যটন শিল্প হয়, তাদের অবস্থা সত্যিই আজ শোচনীয়।
করোনা মহামারি বিশ্বজুড়ে পর্যটন শিল্পের সাথে যুক্ত ১০ লক্ষ মানুষের জীবিকাকে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে। ২০১৯ –এ বিশ্বে মোট ব্যবসার ৭ শতাংশ এসেছে পরযটন শিল্প থেকে। গোটা বিশ্বজুড়ে প্রতি ১০ টি চাকরির একটি পর্যটন সংক্রান্ত। ছোট ছোট দ্বীপ দেশগুলির মোট রোজগারের ৮০ শতাংশই আসে এই শিল্প থেকে। যা মার্চ থেকে পুরোপুরি বন্ধ।
এর ফলে বিশ্ব জুড়ে ২.৮ শতাংশ জিডিপিতে পতন এসেছে। বড় বড় ভ্রমণ সংস্থাগুলিও তাদের কর্মী ছাটাই করতে বাধ্য হয়েছে। বিভিন্ন বড় হোটেল থেকে শুরু করে পর্যটন সক্রান্ত সব ব্যবসারই একই হাল। একই সংকটে ইউকে-র মতো বড় দেশ। বিশ্বজুড়ে অর্থনীতির তৃতীয় বৃহত্তর ভিত্তি এখন প্রবল বিপদের মুখে।
রাষ্ট্রসংঘের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে কোভিড মহামারির এই সংকটই ভ্রমণের ওপর নির্ভরশীল জীবিকাগুলিকে ভবিষ্যতে আরো স্থিতিশীল এবং টেকসই করে তুলবে। নিশ্চিত উন্নয়নের লক্ষ্যে আরো বেশি সংস্থান দক্ষ হয়ে উঠবে।
পর্যটন শিল্পে এই রূপান্তর পাঁচটি ভাগে হতে পারে:
১। আর্থ- সামাজিক প্রভাব হ্রাসঃ মূলত মহিলাদের কর্মসংস্থান এবং অর্থনৈতিক সুরক্ষা।
২। প্রতিযোগিতা এবং স্থিতিশীলতা বৃদ্ধিঃ দেশীয় এবং আঞ্চলিক পর্যটনের প্রচারের মাধ্যমে ক্ষুদ্র ও মাঝারি ব্যবসার অর্থনৈতিক বৈচিত্রকরন।
৩। অগ্রণী উদ্ভাবন এবং ডিজিটাল রূপান্তরঃ মূলত চাকরি প্রার্থী এবং অস্থায়ী কর্মীদের জন্যে ডিজিটাল দক্ষতায় বিনিয়োগ এবং উদ্ভাবনের প্রচার।
৪। স্থিতিস্থাপক, প্রতিযোগীতামূলক, কার্বন নিরপেক্ষ এবং সংস্থানমূলক পর্যটন শিল্পের দিকে অগ্রসর হওয়াঃ সুরক্ষিত অঞ্চলগুলিতে সবুজে বিনিয়োগ শিল্পের হাল ফিরিয়ে আনতে পারে। ৫। সমন্বয় এবং অংশীদারিত্বের মাধ্যমে নতুন করে শুরু এবং এসডিজি অর্জনের চেষ্টাঃ সবাইকে একসাথে মিলে ভ্রমণের বিধি নিষেধকে মেনে চলে আবার পর্যটন শিল্পকে নতুন করে গড়ে তুলতে হবে।