Nimisha Priya: ফাঁসি রুখতে বিশেষ কিছু করতে পারবে না কেন্দ্র, জানালেন অ্যাটর্নি জেনারেল
এই মামলায় ভারতের অ্যাটর্নি জেনারেল আর ভেঙ্কটরামণি আদালতকে জানান, কেন্দ্রীয় সরকার কূটনৈতিক স্তরে যতটা সম্ভব, ততটাই চেষ্টা করছে।

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি, ১৫:২৫: ইয়েমেনে (Yemen) মৃত্যুদণ্ডের মুখে দাঁড়িয়ে থাকা কেরলের নার্স নিমিষা প্রিয়াকে (Nimisha Priya) বাঁচাতে শেষ মুহূর্তে সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) শরণাপন্ন হলেন তাঁর শুভানুধ্যায়ীরা। সোমবার, ১৪ই জুলাই, এই মামলার শুনানি হয়।
“সেভ নিমিষা প্রিয়া ইন্টারন্যাশনাল অ্যাকশন কাউন্সিল” (Save Nimisha Priya International Action Council) নামক একটি সংগঠন এই ফাঁসি স্থগিতের আর্জি জানিয়ে মামলা করে। তাঁরা নিমিষাকে বাঁচাতে সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন বলে জানিয়েছেন।
এই মামলায় ভারতের অ্যাটর্নি জেনারেল আর ভেঙ্কটরামণি (Attorney General R Venkataramani) আদালতকে জানান, কেন্দ্রীয় সরকার কূটনৈতিক স্তরে যতটা সম্ভব, ততটাই চেষ্টা করছে। ইতিমধ্যেই ইয়েমেনের পাবলিক প্রসিকিউটরের সঙ্গেও আলোচনা চলছে, যাতে অন্তত ১৬ই জুলাইয়ের ফাঁসির আদেশ স্থগিত রাখা যায়। তবে বিশেষ আশার আলো নেই, এবং এর থেকে বেশি কিছু করতে পারবে না কেন্দ্র।
আদালতের শুনানিতে কেন্দ্র সরকার জানিয়ে দেয়, “সরকারের আর কিছু করার নেই।” ইয়েমেনের পরিস্থিতি অত্যন্ত সংবেদনশীল এবং কূটনৈতিকভাবে সেই দেশ আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি না পাওয়ায় ভারতীয় সরকারের হস্তক্ষেপ করা কঠিন।
ভেঙ্কটরামণি বলেন, “রক্তমূল্য (blood money) একটি সম্পূর্ণ ব্যক্তিগত চুক্তি। এটি শুধুমাত্র নিহত ব্যক্তির পরিবারের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে ঠিক করতে হয়।”
আবেদনকারী সংগঠন জানিয়েছে, তারা আরও বেশি রক্তমূল্য দিতে প্রস্তুত, যদি নিহত ব্যক্তির পরিবার তা গ্রহণ করতে রাজি হয়। কারণ এখন একমাত্র পথ – এই রক্তমূল্যের বিনিময়ে নিমিষার প্রাণ রক্ষা করা।
প্রিয়ার পক্ষের আইনজীবী আদালতে বলেন, “এই মুহূর্তে বাঁচার একমাত্র রাস্তা হল রক্তমূল্যের বিনিময়ে সমঝোতা। যদি নিহতের পরিবার রাজি হয়, তাহলে এখনও একটা আশা আছে।”
সারা দেশ থেকে এই ঘটনায় মানবিক আবেদন উঠেছে। বহু মানুষ সোশ্যাল মিডিয়ায় নিমিষার প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন এবং দ্রুত হস্তক্ষেপের দাবি তুলেছেন।
এখন নজর ১৬ই জুলাইয়ের দিকে। তার আগে যদি সমঝোতা না হয়, তাহলে ইয়েমেনের কঠোর আইনে মৃত্যুদণ্ড হতে পারে ভারতীয় নার্সের।