Balasore College: ওড়িশায় নির্যাতিতা কলেজ ছাত্রীর মৃত্যু, বিভাগীয় প্রধানের বিরুদ্ধে অভিযোগ এনে আগুন দিয়েছিলেন নিজের গায়ে

July 15, 2025 | 2 min read
Published by: Drishti Bhongi

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি, ০৯:৩০: ওড়িশার (Odisha) বালাসোরের ফকির মোহন অটোনোমাস কলেজের আত্মঘাতী তরুণীর মৃত্যু। মঙ্গলবার ২০ বছর বয়সী এই ছাত্রীর ভুবনেশ্বর এইমস (AIIMS) হাসপাতালে মৃত্যু হয়। ভুবনেশ্বর এমস কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, সোমবার রাত ১১টা ৪৬ মিনিটে ওড়িশার বালেশ্বরের ওই কলেজছাত্রীর মৃত্যু হয়েছে। গত শনিবার থেকে ভুবনেশ্বর এমসের বার্ন আইসিইউতে চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি। হাসপাতালের তরফে জানানো হয়েছে, তরুণীকে বাঁচানোর জন্য সম্ভাব্য সবরকম পদক্ষেপ করা হয়েছিল। তাঁর বৃক্কতন্ত্রও প্রতিস্থাপনের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থাও করা হয়। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তাঁকে বাঁচানো সম্ভব হয়নি।

ছাত্রীর দেহের ৯৫ শতাংশই পুড়ে গিয়েছিল। তাঁর শারীরিক অবস্থা দেখে শনিবারই ভুবনেশ্বর এমসে স্থানান্তর করা হয়েছিল তরুণীকে। ভুবনেশ্বর এমসে ভর্তি হওয়ার পর থেকে শারীরিক অবস্থার কোনও উন্নতি হয়নি ওড়িশার কলেজের সেই নির্যাতিতার। চিকিৎসকেরা ওই সময় জানিয়েছিলেন, ছাত্রীর শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ, তন্ত্র পুড়ে গিয়েছে। কিডনিও পুড়ে যাওয়ার কারণে তা কাজ করছিল না। তরুণীর ডায়ালিসিস চলছিল বলেও জানিয়েছিলেন চিকিৎসকেরা। ভিডিয়ো কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে চিকিৎসায় পরামর্শ দিচ্ছিলেন দিল্লি এমসের বিশেষজ্ঞেরাও। কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি।

২০ বছর বয়সী এই ছাত্রী তাঁর কলেজের বিভাগীয় প্রধানের (HoD) বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছিলেন। দীর্ঘ সময় ধরে যৌন হয়রানির শিকার হওয়ার অভিযোগে আত্মহত্যা করেন তরুণী এমনটাই অভিযোগ। কলেজ প্রশাসনের কাছে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দায়ের করা এবং অধ্যক্ষের কাছ থেকে সাহায্য চাওয়া সত্ত্বেও, তাঁর আবেদন কেউ কানে তোলেনি। এর ফলে হতাশ হয়ে যান ছাত্রী। এরপরই এই মারাত্মক পদক্ষেপ নেয় ছাত্রী। ইতিমধ্যে, ওড়িশা পুলিশ অভিযুক্ত সমীর সাহু এবং ফকির মোহন কলেজের বরখাস্ত অধ্যক্ষ দিলীপ ঘোষকে গ্রেফতার করেছে। আদালত তাদের ১৪ দিনের বিচারবিভাগীয় হেফাজতে পাঠিয়েছে। এই ঘটনায় বিক্ষুব্ধরা অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা এবং কলেজ প্রশাসনের কাছ থেকে জবাবদিহির দাবি জানাচ্ছে।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

ভিডিও

আরও পড়ুন

Decorative Ring
Maa Ashchen