ডবল ইঞ্জিন রাজ্যে বাঙালি হেনস্থা অব্যাহত, এবার গুরুগ্রামে আটক বাংলার ১০ নাগরিক

একের পর এক বিজেপি শাসিত রাজ্যে বাঙালিকে হেনস্থা করা চলছেই। লাগাতার বাংলা এবং বাঙালি বিদ্বেষের ঘটনা হয়েই চলেছে।

July 20, 2025 | < 1 min read
Published by: Drishti Bhongi

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি, ৯.১৫: একের পর এক বিজেপি শাসিত রাজ্যে বাঙালিকে হেনস্থা করা চলছেই। লাগাতার বাংলা এবং বাঙালি বিদ্বেষের ঘটনা হয়েই চলেছে। আক্রমণের শিকার হচ্ছেন একেবারে নিচুতলার খেটে খাওয়া মানুষ। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কলকাতার রাজপথে এর বিরুদ্ধে মিছিল করেছেন। বার বার প্রতিবাদে মুখর হয়েছে বাংলা। কিন্তু হেনস্থার ঘটনা বেড়েই চলেছে। এবারও ঘটনা ঘটল গুরুগ্রামে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে সেখানকার বাঙালি পরিযায়ী শ্রমিকদের মধ্যে প্রবল আতঙ্ক ছড়িয়েছে।

বাংলাভাষী হওয়ায় বাংলাদেশের নাগরিক সন্দেহে বিজেপি শাসিত হরিয়ানায় বাংলার কোচবিহারের আট ও নদীয়ার দুই বাসিন্দাকে পুলিশ আটক করেছে। জানা যাচ্ছে, ১৯ জুলাই অর্থাৎ শনিবার সকাল সাতটা নাগাদ গুরুগ্রামের সেক্টর-৬৫ এলাকায় গিয়ে পুলিশ বাংলাদেশি সন্দেহে ১০ জনকে আটক করে। অভিযোগ, শ্রমিকরা আধার কার্ড দেখালে পুলিশ তাদের থেকে আধার কার্ড কেড়ে নেয়। তারপর তাদের আটক করে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। পশ্চিমবঙ্গ পরিযায়ী শ্রমিক কল্যাণ বোর্ডের চেয়ারম্যান ও রাজ্যসভার সাংসদ সামিরুল ইসলামকে এই বিষয়ে জানান কোচবিহারের প্রাক্তন সাংসদ পার্থপ্রতিম রায়। পার্থপ্রতিমবাবুর অভিযোগ, বিজেপি শাসিত গুরুগ্রামে বাদশাপুর থানার পুলিশ কোচবিহার ও নদীয়া জেলার শ্রমিকদের বাংলাদেশি সন্দেহে আটকে রেখেছে। শ্রমিকদের মধ্যে কোচবিহারের মানুষ রয়েছেন।

খবর মিলেছে, পুলিশ যাদের আটক করেছে তাদের মধ্যে অনেকে রাজবংশী, কেউ নস্য শেখ বা তেলি সম্প্রদায়ের মানুষ। তারা পশ্চিমবঙ্গের স্থায়ী বাসিন্দা। গুরুগ্রামের পুলিশ তাদের বাংলাদেশের নাগরিক সন্দেহে থানায় নিয়ে গিয়েছে। উল্লেখ্য, কিছু দিন আগেই কোচবিহারের জিরানপুরের এক বাসিন্দার সঙ্গে গুরুগ্রামে এমনই ঘটনা ঘটেছিল। হরিয়ানায় বার বার বাংলার শ্রমিকদের হেনস্তা নিয়ে সরব কোচবিহারের মানুষ। এমন চলতে থাকলে হরিয়ানার গিয়ে আন্দোলন হবে বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন প্রাক্তন সাংসদ পার্থপ্রতিম রায়।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

ভিডিও

আরও পড়ুন

Decorative Ring
Maa Ashchen