Thailand-Cambodia Conflict: বাণিজ্য বন্ধের হুমকি নিয়ে হাজির ট্রাম্প, যুদ্ধ থামার পথে?
দুই পক্ষই যুদ্ধবিরতি ও শান্তির জন্য প্রস্তুত। তারা আমেরিকার সঙ্গে বাণিজ্য ইস্যুতে আলোচনার টেবিলে আসতে চায়।

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি, ১০.১৪: যুদ্ধ বাঁধলেই হাজির হচ্ছেন ট্রাম্প, ভারত-পাক সংঘর্ষ হোক বা ইরান-ইজরায়েল যুদ্ধ! এবার থাইল্যান্ড-কম্বোডিয়ার যুদ্ধেও হাজির তিনি। প্রিয়া বিহার মন্দিরের দখল ঘিরে কম্বোডিয়া ও থাইল্যান্ডের যুদ্ধে ৩৩ জনের প্রাণহানির পর এবার আসরে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। দুই দেশের রাষ্ট্র নেতার সঙ্গে ফোনে কথা বলার পর হুঁশিয়ারি দিলেন, দুই দেশ যতদিন না যুদ্ধ থামাচ্ছে ততদিন দুই দেশের সঙ্গে বাণিজ্য করবে না হোয়াইট হাউস।
সম্প্রতি স্কটল্যান্ড সফরে গিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। সেখান থেকেই দুই দেশের রাষ্ট্রপ্রধানের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। ট্রাম্প দাবি করেন, থাইল্যান্ডের সঙ্গে যুদ্ধ বন্ধ করতে কম্বোডিয়ার প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে তিনি কথা বলেছেন। একটি পোস্টে তিনি লেখেন, “থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা হল কম্বোডিয়ার যুদ্ধবিরতির বার্তা তাঁকে জানিয়েছি। থাইল্যান্ডও অবিলম্বে যুদ্ধবিরতি ও শান্তি চায়। আমি এখন কম্বোডিয়ার প্রধানমন্ত্রীকে বিষয়টি জানাব। উভয়ের সঙ্গে কথা বলার পর আশা করছি ওই অঞ্চলে শান্তি ও সমৃদ্ধি আসবে। দুই পক্ষই যুদ্ধবিরতি ও শান্তির জন্য প্রস্তুত। তারা আমেরিকার সঙ্গে বাণিজ্য ইস্যুতে আলোচনার টেবিলে আসতে চায়। তবে যতক্ষণ না দুই দেশ পূর্ণ শান্তির পথে হাঁটছে ততদিন কোনও বাণিজ্য হবে না। সমস্যা মিটবে মেটার পর আমরা উভয় দেশের সঙ্গে বাণিজ্য চুক্তি করব।”
বৃহস্পতিবার ভোররাত থেকে সংঘর্ষে জড়িয়েছে কম্বোডিয়া ও থাইল্যান্ড। শনিবার থাইল্যান্ডের কাছে যুদ্ধ থামানোর আর্জি জানিয়েছে কম্বোডিয়া। যদিও সে প্রস্তাবে সাড়া দেয়নি থাইল্যান্ড। যুদ্ধের মাঝে শান্তির দূত হয়ে মাঠে নামলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। এর আগে ভারত-পাকিস্তান, ইজরায়েল ও ইরান, কঙ্গো ও রাওয়ান্ডার মধ্যে যুদ্ধ থামানোর দাবি করেছে আমেরিকা। ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সংঘর্ষ বিরতি নিয়ে তাঁর দাবি খারিজ করেছে নয়া দিল্লি