Russia Earthquake -Tsunami: রাশিয়ায় শক্তিশালী ভূমিকম্প, সুনামির সতর্কতা জাপান-আমেরিকায়
বুধবার সকালে রাশিয়ার পূর্বে অবস্থিত কামচাটকায় ৮.৭ মাত্রার একটি শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হানে।

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি, ০৮:১২: বুধবার সকালে রাশিয়ার পূর্বে অবস্থিত কামচাটকায় ৮.৭ মাত্রার একটি শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হানে। যার ফলে ৪ মিটার (১৩ ফুট) পর্যন্ত উচ্চতার সুনামির সৃষ্টি হয়। ভূমিকম্পের জেরে জাপান ও আমেরিকার হাওয়াই দ্বীপপুঞ্জে জারি হয়েছে সুনামি সতর্কতা (Tsunami Alert)। উপকূলবর্তী এলাকাগুলির বাসিন্দাদের দ্রুত নিরাপদ স্থানে সরে যেতে বলা হয়েছে।
মার্কিন আবহাওয়া সংস্থা জানিয়েছে, ভূমিকম্পের উৎস ভূপৃষ্টের ১৯.৩ কিলোমিটার গভীরে। প্রথমে মনে হয়েছিল কম্পনের মাত্রা ছিল রিখটার স্কেলে ৮। পরে জানা যায়, কম্পনের মাত্রা আরও বেশি। তবে এখনও পর্যন্ত কোনও হতাহতের খবর মেলেনি।
রাশিয়ার এক মন্ত্রী জানিয়েছেন, ভূমিকম্পের পর কামচাটকা অঞ্চলের কিছু অংশে তিন থেকে চার মিটার উঁচু ঢেউ-সহ সুনামি লক্ষ্য করা গিয়েছে। সেই কারণে সকলকে সমুদ্র উপকূলবর্তী এলাকা থেকে যত দূর সম্ভব সরে যাওয়ার বার্তা দেওয়া হয়েছে। প্রশাসন বাসিন্দাদের অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার কাজ করছে জোরকদমে।
জাপানের আবহাওয়া সংস্থা জানিয়েছে, সকাল ৮টা ২৫ মিনিটে (স্থানীয় সময়) ভূমিকম্প হয়। প্রথমে এর মাত্রা ৮.০ বলে মনে করা হলেও, মার্কিন ভূতাত্ত্বিক সংস্থা USGS পরে জানায়, কম্পনের আসল মাত্রা ছিল ৮.৭। ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থল ছিল হোক্কাইডো দ্বীপ থেকে প্রায় ২৫০ কিলোমিটার দূরে সমুদ্রের গভীরে।
এমন শক্তিশালী কম্পনের ফলে সমুদ্রে বড় ঢেউ তৈরি হওয়ার আশঙ্কা থাকায়, জাপানের পুরো প্রশান্ত মহাসাগরীয় উপকূলে জারি করা হয়েছে সুনামি সতর্কতা। তিন মিটার পর্যন্ত উঁচু ঢেউ আছড়ে পড়তে পারে বলে জানানো হয়েছে। সতর্কবার্তায় বলা হয়েছে, ভূমিকম্পের আধঘণ্টার মধ্যেই জাপানের উত্তর উপকূলে ঢেউ পৌঁছে যেতে পারে।
এই সুনামির প্রভাব শুধু জাপানেই নয়, পৌঁছাতে পারে হাওয়াই দ্বীপপুঞ্জেও। আমেরিকার প্যাসিফিক সুনামি ওয়ার্নিং সেন্টার জানিয়েছে, হাওয়াইয়ের সব দ্বীপেই সুনামি হতে পারে এবং তার ফলে ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে। সেখানকার স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৭টার মধ্যে ঢেউ আছড়ে পড়তে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
রাশিয়ার পেট্রোপাভলোভস্ক-কমচাটস্কি শহরে ব্যাপক আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। কারণ এটি ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থলের সবচেয়ে কাছে অবস্থিত। বহু মানুষ খালি পায়ে তাড়াহুড়ো করে রাস্তায় নেমে আসেন। অনেক বাড়িতে আলমারি উলটে পড়ে, আয়না ভেঙে যায়, ঘর-বারান্দা কেঁপে ওঠে। শহরে বিদ্যুৎ চলে যায় এবং মোবাইল পরিষেবাও বন্ধ হয়ে যায় বলে জানিয়েছে রাশিয়ার সংবাদ সংস্থা তাস।