Nabanna Abhijan: অনুমতি ছাড়াই মিছিল, তবু আজ শহরজুড়ে বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা পুলিশের
এখনও পর্যন্ত কোনও মিছিলকারী পুলিশের কাছে অনুমতির জন্য আবেদন জানাননি বলে জানিয়েছেন রাজ্য পুলিশের আধিকারিকেরা।

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি, ৯.৩০: আর জি কর কাণ্ডের এক বছর পূর্ণ হয়েছে। সেই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে তিলোত্তমা অভয়ার বাবা-মা আজ শনিবার ‘অরাজনৈতিক’ আন্দোলনের ডাক দিয়েছেন। ‘নবান্ন অভিযান’-এর এই কর্মসূচিতে অংশগ্রহণের জন্য সকলকে আহ্বান জানানো হয়েছে তাঁদের তরফে। যদিও কলকাতা হাই কোর্ট শর্তসাপেক্ষে এই মিছিলে অনুমতি দিয়েছে, এখনও পর্যন্ত কোনও মিছিলকারী পুলিশের কাছে অনুমতির জন্য আবেদন জানাননি বলে জানিয়েছেন রাজ্য পুলিশের আধিকারিকেরা।
শুক্রবার ভবানী ভবনে এক সাংবাদিক বৈঠকে রাজ্য পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, শনিবারের কর্মসূচিকে ঘিরে সকাল ৪টে থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত শহরের একাধিক গুরুত্বপূর্ণ রাস্তায় যান চলাচল নিয়ন্ত্রণে থাকবে। কলকাতা পুলিশ জানায়, ‘নবান্ন অভিযান’ এবং ‘কালীঘাট চলো’ কর্মসূচিকে ঘিরেই এই পদক্ষেপ।
কোন কোন রাস্তায় নিয়ন্ত্রণ?
কলকাতা ট্র্যাফিক পুলিশের বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, বিদ্যাসাগর সেতু, খিদিরপুর রোড, তারাতলা রোড, গার্ডেনরিচ রোড, হাইড রোড, জওহরলাল নেহরু রোড, আরআর অ্যাভিনিউ, রেড রোড, ডাফরিন রোড, মেয়ো রোড, এজেসি বোস রোড, এসএন ব্যানার্জি রোড, এমজি রোড, ব্র্যাবোর্ন রোড এবং হাওড়া সেতুতে ট্র্যাফিক নিয়ন্ত্রণ করা হবে। প্রয়োজনে মালবাহী গাড়িকেও ঘুরিয়ে দেওয়া হতে পারে বিকল্প রাস্তায়।
শনিবার সকালে তিনটি বড় মিছিল রওনা দেবে নবান্নের উদ্দেশে। একটি শিয়ালদহ থেকে, দ্বিতীয়টি ডোরিনা ক্রসিং থেকে এবং তৃতীয় মিছিলটি হাওড়ার সাঁতরাগাছি থেকে শুরু হবে।
পুলিশ জানিয়েছে, শান্তিপূর্ণ মিছিলে তাদের কোনও আপত্তি নেই। কিন্তু কোনওরকম আইন অমান্য হলে কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হবে। ইতিমধ্যে শহরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে বসানো হয়েছে স্টিলের ব্যারিকেড, কন্টেনার ও জলকামান। বাইরের জেলা থেকে হাওড়ায় মোতায়েন করা হয়েছে অতিরিক্ত ১৫০০ পুলিশ কর্মী।
এই আন্দোলনের নেপথ্যে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য রয়েছে কি না, তা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে বিভিন্ন মহলে। আদালতের রায়ে অভয়া হত্যাকাণ্ডে সঞ্জয় রায় দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন, সিবিআই কলকাতা পুলিশের তদন্তে সম্মতি দিয়েছে। এর পরেও এই আন্দোলন কি শুধুই প্রতিবাদ, না কি শাসকদলের বিরুদ্ধে রাম-বাম জোটের এক নতুন কৌশল? অতিবাম শক্তিরা কি রাজ্যে অস্থিরতা তৈরির পরিকল্পনা করছে? প্রশ্ন উঠছে রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মধ্যেও।