গত ১৪ বছরে বাংলায় বেড়েছে ১.১৩ লক্ষ ব্যবসায়িক সংস্থা, মমতার দাবিকেই স্বীকৃতি দিল কেন্দ্র
গত দেড় দশকে রাজ্যে ব্যবসায়িক সংস্থার (রেজিস্টার্ড কোম্পানি) সংখ্যা কত বেড়েছে, কত সংস্থাই বা পশ্চিমবঙ্গ ছেড়ে চলে গিয়েছে

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি, ২২:৪৩: বাংলায় লাফিয়ে বেড়েছে ব্যবসায়িক সংস্থার সংখ্যা। গত দেড় দশকে রাজ্যে ব্যবসায়িক সংস্থার (রেজিস্টার্ড কোম্পানি) সংখ্যা কত বেড়েছে, কত সংস্থাই বা পশ্চিমবঙ্গ ছেড়ে চলে গিয়েছে, কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে
লোকসভায় এই তথ্য জানতে চান তৃণমূল সাংসদ বাপি হালদার। মঙ্গলবার মথুরাপুরের সাংসদের প্রশ্নের জবাব দিলেন কেন্দ্রের কর্রোরেট মন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী হর্ষ মালহোত্রা। রেজিস্টার অফ কোম্পানি (আরওসি)-র নথিভুক্তি থেকেই জানা যায়, কোন রাজ্যে কতটি ব্যবসায়িক সংস্থা রয়েছে।
কেন্দ্রের পরিসংখ্যান অনুযায়ী,
- ২০১০ সালে নথিভুক্ত সংস্থা ছিল ১,২১,৪৯৬টি।
- ২০১১ সালের মার্চে বেড়ে দাঁড়ায় ১,৩৭,১৫৬টি।
- ২০২৫ সালের ৩১ জুলাইয়ে তা হয় ২,৫০,২৪৩টি।
তৃণমূল সাংসদের প্রশ্নে কেন্দ্র জানিয়েছে, গত পাঁচ বছরে পশ্চিমবঙ্গে নতুন সংস্থা নথিভুক্তির পাশাপাশি কত সংস্থা রাজ্য ছেড়েছে তার বিস্তারিত পরিসংখ্যান।
- ২০২০-২১ অর্থবর্ষে ৭,১৯৭টি নতুন সংস্থা নথিভুক্ত হয়, রাজ্য ছাড়ে ৩০৬টি।
- ২০২১-২২ অর্থবর্ষে নতুন সংস্থা প্রায় ৮,৫০০, রাজ্য ছাড়ে ২৭৩টি।
- ২০২২-২৩ অর্থবর্ষে নথিভুক্ত হয় প্রায় ৮,০০০ সংস্থা, ছাড়ে ২৭০টি।
- ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষে নতুন সংস্থা সাড়ে ৮ হাজারের বেশি, রাজ্য ছাড়ে ৩৭১টি।
- ২০২৪-২৫ অর্থবর্ষে ৮,৩৫৩টি সংস্থা নথিভুক্ত হয়, ছাড়ে ৩৬৬টি।
- চলতি অর্থবর্ষে ৩১ জুলাই পর্যন্ত নতুন সংস্থা প্রায় ৩,৫০০, রাজ্য ছাড়ে ১৫৬টি।
বিজেপি-সহ বিরোধীদের অভিযোগ, তৃণমূল সরকারের শাসনে রাজ্যে ব্যবসা-বাণিজ্য কার্যত থমকে গেছে। তাদের বক্তব্য, উপযুক্ত পরিবেশের অভাবে বহু সংস্থা কাজ বন্ধ করে অন্য রাজ্যে চলে গিয়েছে। কতগুলি সংস্থা এভাবে বাংলা ছেড়েছে, তার নির্দিষ্ট পরিসংখ্যানও প্রকাশ করেছে কেন্দ্র।
কেন্দ্রের দেওয়া পরিসংখ্যানকে সামনে রেখে বিরোধীদের দাবি খণ্ডন করতে প্রস্তুতি নিচ্ছে তৃণমূল। শাসকদলের দাবি, এই তথ্যই প্রমাণ করছে, কোভিডের কঠিন সময়েও বাংলায় ব্যবসার পরিবেশ অটুট ছিল।
এর আগে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বারে বারে দাবি করেছেন রাজ্যে বেড়েছে শিল্প ও ব্যবসার সুযোগ। আজ লোকসভায় প্রশ্নের জবাবে মুখ্যমন্ত্রীর সেই দাবিকেই কার্যত সীলমোহর দিল কেন্দ্র।