সম্পর্কের অবনতিজনিত মানসিক অবসাদে আত্মহত্যা? প্রেমিকের স্বীকারোক্তিতে সিঙ্গুরের নার্সের মৃত্যুতে চাঞ্চল্যকর মোড়
আদালত তাঁর পুলিশ হেপাজতের নির্দেশ দেয়। পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে উঠে এসেছে, ধৃত রাধাগোবিন্দ অন্য বেসরকারি নার্সিংহোমে ডায়ালিসিস বিভাগে কাজ করেন।

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি, ১৫:২০: সিঙ্গুরের নার্সের মৃত্যুতে নয়া মোড়। মৃত্যুর দু’দিন আগে প্রেমিক রাধাগোবিন্দ ঘটনের সঙ্গে এক হোটলে ছিলেন ওই নার্স। বৃহস্পতিবার সিঙ্গুরের বোড়াই তেমাথা এলাকায় এক বেসরকারি নার্সিংহোম থেকে নার্সের দেহ উদ্ধার হয়। মৃতা নার্সের প্রেমিক রাধাগোবিন্দকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। আদালত তাঁর পুলিশ হেপাজতের নির্দেশ দেয়। পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে উঠে এসেছে, ধৃত রাধাগোবিন্দ অন্য বেসরকারি নার্সিংহোমে ডায়ালিসিস বিভাগে কাজ করেন।
তদন্তে ধৃত প্রেমিক জানিয়েছেন, বিয়ের জন্য চাপ দিচ্ছিলেন নার্স, এড়িয়ে যাচ্ছিলেন রাধাগোবিন্দ। যার জেরে মানসিক অবসাদে তিনি আত্মঘাতী হয়েছেন। প্রাথমিক তদন্তের পর এমনটাই মনে করছে পুলিশ। কাজের সুবাদেই ওই নার্সের সঙ্গে পরিচয় রাধাগোবিন্দের। ক্রমে প্রেমে জড়িয়ে পড়ে দু’জনে। ১০ আগস্ট হুগলির ডানকুনিতে একটি হোটেলে ওঠেন তাঁরা। নার্স প্রেমিককে বিয়ের প্রস্তাব দেন। বিয়ে করতে রাজি ছিলেন না রাধাগোবিন্দ। মানসিক অবসাদে ভুগে যুবতী নার্স গলায় ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেন বলেই অনুমান।
নার্সিংহোমের মালিকেও গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাঁকেও জিজ্ঞাসাবাদ করছেন তদন্তকারীরা। মালিক ওই নার্সের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করেছিলেন বলে জানা গিয়েছে।
মৃতার পরিবারের দাবি মেনে শনিবার কল্যাণী এইমসে নার্সের দেহের ময়নাতদন্ত হয়েছে। প্রথমে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়ে দেওয়া হয়। পরিবার কেন্দ্র সরকারের হাসপাতালে ময়নাতদন্তের দাবি তোলে। তা মেনেই মৃত্যুর চারদিন পরে ময়নাতদন্ত হয় কল্যাণী এইমসে। তারপর পরিবারের হাতে দেহ তুলে দেওয়া হয়।
উল্লেখ্য, সিঙ্গুরের এক নার্সিংহোমের চারতলার ঘর থেকে গত বৃহস্পতিবার সকালে নার্সের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। বেঙ্গালুরু থেকে নার্সিং পড়ে দিন কয়েক আগেই বাড়ি ফিরেছিলেন তিনি। চাকরি পান সিঙ্গুরের এক নার্সিংহোমে। কাজে যোগ দেওয়ার তিনদিনের পরই দেহ উদ্ধার হয়। মৃতার পরিবার নার্সিংহোমের মালিকের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ তোলে।