মধ্যমগ্রামের বিস্ফোরণ নিয়ে উঠে আসছে একাধিক চাঞ্চল্যকর তথ্য
মধ্যমগ্রামের বিস্ফোরণ নিয়ে উঠে আসছে চাঞ্চল্যকর তথ্য।

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি, ০৮:৩০: মধ্যমগ্রামের বিস্ফোরণ নিয়ে উঠে আসছে চাঞ্চল্যকর তথ্য। রবিবার গভীর রাতে মধ্যমগ্রাম ফ্লাইওভারের নীচে রবীন্দ্র মুক্তমঞ্চে ‘রহস্যবিস্ফোরণ। আর তাতেই মৃত্যু হল উত্তরপ্রদেশের বাস্তি জেলার এক যুবকের।
বারাসত পুলিস জেলার সুপার প্রতীক্ষা ঝাড়খড়িয়া জানিয়েছেন, মৃত যুবকের নাম সচ্চিনানন্দ মিশ্র (২৫)। উত্তরপ্রদেশের বাসিন্দা এই যুবক আইটিআই-ফিটার কোর্স করে বর্তমানে হরিয়ানার একটি গ্লাস ফ্যাক্টরিতে কর্মরত। মধ্যমগ্রামের দেবীগড়ের বাসিন্দা এক গৃহবধূর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়েছিল সচ্চিদানন্দ। এর আগেও সে বেশ কয়েকবার মধ্যমগ্রামে এসেছিল। তবে এবার সচ্চিদানন্দের টার্গেট ছিল পথের কাঁটা হয়ে ওঠা প্রেমিকার স্বামী—এমনটাই মনে করছে পুলিস। দেবীগড়ের ওই মহিলাকে জেরা করা হচ্ছে। বিস্ফোরণস্থল থেকে উদ্ধার হওয়া যুবকের ব্যাগ থেকে ইলেকট্রিক তার, ব্ল্যাকটেপ, চার্জার, আধার কার্ড সহ বেশ কিছু নমুনা মিলেছে। তবে আইটিআই উত্তীর্ণ এক যুবক নিজেই আইইডি তৈরি এবং তার ব্যবহার শিখেছিল, নাকি অন্য কেউ তাকে তা সরবরাহ করেছে, তা জানতে জোরদার তদন্ত শুরু করেছে বেঙ্গল এসটিএফ। বারাসত জেলা হাসপাতালে মৃত্যুর আগে বাবা অশ্বিনী কুমার মিশ্রর ফোন নম্বর পুলিসকে জানিয়েছিল সচ্চিদানন্দ। আজ, মঙ্গলবার সকালে মিশ্র পরিবারের লোক মধ্যমগ্রামে আসছেন।
উত্তরপ্রদেশের বাসিন্দার সঙ্গে মধ্যমগ্রামের দেবীগড়ের গৃহবধূর প্রেমের সম্পর্কের বিষয়টি যেমন ইনস্টাগ্রামের চ্যাট থেকে জানা গিয়েছে, তেমনই সচ্চিদানন্দের মোবাইল ফোনের কল ডিটেইলস ঘেঁটেও এ বিষয়ে নিশ্চিত হয়েছেন তদন্তকারীরা। তবে পুলিসের অপর একটি সূত্র জানাচ্ছে, ইদানীং সচ্চিদানন্দকে এড়িয়ে যাচ্ছিল দেবীগড়ের প্রেমিকা। এড়িয়ে চলা প্রেমিকাকে ‘তুষ্ট’ করা, নাকি তার স্বামীকে ‘খতম’? কোন লক্ষ্যপূরণে এবার সচ্চিদানন্দের মধ্যমগ্রাম আগমন, তা জানাই এখন তদন্তকারীদের মূল লক্ষ্য। তদন্তকারীরা বলছেন, দু’-তিনদিন আগেই কলকাতায় এসেছিল সচ্চিদানন্দ। প্রেমিকার বাড়ির ঠিকানা জানলেও, কীভাবে সেখানে যেতে হয়, রবিবার রাতে মধ্যমগ্রাম স্টেশনের এক ফল ব্যবসায়ীর কাছে তা জানতে চেয়েছিল সচ্চিদানন্দ। বিস্ফোরণের পর জখম সচ্চিদানন্দকে শনাক্তও করেন ওই ব্যবসায়ী।