সিঙ্গুরে নার্সের রহস্যমৃত্যু: হত্যা না-কি আত্মহত্যা, কী মিলল ময়নাতদন্তে?
পূর্ব মেদিনীপুরের নন্দীগ্রামের বাসিন্দা নার্স দীপালি জানার মৃত্যু হয়েছে গলায় ফাঁস লাগিয়ে, এমনই তথ্য সামনে এসেছে ময়নাতদন্তে।

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি, ১৭:৪৫: পূর্ব মেদিনীপুরের নন্দীগ্রামের বাসিন্দা নার্স দীপালি জানার মৃত্যু হয়েছে গলায় ফাঁস লাগিয়ে, এমনই তথ্য সামনে এসেছে ময়নাতদন্তে। কল্যাণী এইমসের রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, মৃতার শরীরে আঘাতের কোনও চিহ্ন নেই। গলায় ফাঁস লাগিয়ে মৃত্যু হয়েছে তাঁর।
গত বৃহস্পতিবার হুগলির সিঙ্গুরের এক নার্সিংহোমে দীপালির ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। পরিবারের দাবি ছিল, খুন করা হয়েছে দীপালিকে। গ্রেপ্তার হয়েছেন ওই যুবতীর প্রেমিক এবং নার্সিংহোমের মালিক। পুলিশ সূত্রে খবর, ময়নাতদন্তের রিপোর্টে আঘাতের চিহ্ন মেলেনি। আত্মহত্যার কারণ নিয়ে তদন্ত চলছে। বিষক্রিয়া বা অন্য কারণে মৃত্যুর কারণ নির্ধারণ করতে মৃতার ভিসেরা সংরক্ষণ করা হয়েছে।
সিঙ্গুরের নার্সিংহোমে ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হওয়ার দু’দিন আগে ২৪ বছরের দীপালি সেখানে নার্সের চাকরিতে যোগ দিয়েছিলেন। গত বৃহস্পততিবার সকালে নার্সের মৃত্যুসংবাদ পেয়ে খুনের অভিযোগ দায়ের করে তাঁর পরিবার। অভিযোগের প্রেক্ষিতে দু’জনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
ময়নাতদন্ত ঘিরে বিতর্ক শুরু হয়। কেন্দ্রীয় হাসপাতালে ময়নাতদন্তের দাবি জানায় পরিবার। গত ১৬ আগস্ট কল্যাণী এইমসে নার্সের দেহের ময়নাতদন্ত হয়। চার জন ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক, ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে ময়নাতদন্ত করেন। পুরো প্রক্রিয়ার ভিডিওগ্রাফি করা হয়। পুলিশ সূত্রে খবর, ময়নাতদন্তের রিপোর্ট অনুযায়ী গলায় ফাঁস দিয়ে ঝুলে পড়ায় মৃত্যু হয়েছিল নার্সের। শারীরিক নির্যাতনের কোনও চিহ্ন ছিল না।