মার্কিন চোখরাঙানি উপেক্ষা করে ভারতকে তেলে আরও বেশি ছাড় রাশিয়ার
মার্কিন চাপ ও নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও ভারতের সঙ্গে তেল বাণিজ্য থামবে না বলে জানিয়েছে রাশিয়া।

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি, ২১:৩০: মার্কিন চাপ ও নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও ভারতের সঙ্গে তেল বাণিজ্য থামবে না বলে জানিয়েছে রাশিয়া। নয়াদিল্লির কাছে তেল বিক্রি করাও বন্ধ করবে না মস্কো। মার্কিন শুল্কযুদ্ধ ঘিরে কূটনৈতিক টানাপড়েনের মাঝে এমনটাই জানাল রাশিয়া। পাশাপাশি এ-ও জানানো হয়েছে, চলতি বছরের শেষেই ভারত সফরে আসবেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। নয়াদিল্লিতে বৈঠক করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে।
ভারতে নিযুক্ত রাশিয়ার ডেপুটি ট্রেড রিপ্রেজেন্টেটিভ ইয়েভগেনি গ্রিভা বলেন, ‘রাশিয়ান অপরিশোধিত তেল কেনায় প্রায় ৫ শতাংশ ছাড় দেওয়া হবে। এটা অবশ্যই আলোচনার উপর নির্ভর করবে। ছাড়ের অঙ্ক ব্যবসায়ীদের মধ্যে আলোচনার বিষয়, তবে সাধারণত প্লাস-মাইনাস ৫ শতাংশের মধ্যেই ঘোরাফেরা করে।’
গত মাসে ভারতের উপর ২৫ শতাংশ শুল্ক চাপান মার্কিন প্রেসিডেন্ট। তারপর রুশ তেল আমদানির ‘অপরাধে’ আরও ২৫ শতাংশ শুল্ক চাপে ভারতের উপর। তারপরেই খবর ছড়ায়, মূলত রয়টার্সকে উদ্ধৃত করে নানা সূত্র মারফত খবর ছড়ায়, এবার রাশিয়া থেকে তেল কেনা বন্ধ করে দেবে ভারত। তার কারণ, রুশ তেলের দামে এতদিন পর্যন্ত যতটা পরিমাণ ছাড় মিলছিল সেটা বর্তমানে কমে গিয়েছে। তাছাড়া আমেরিকা সরাসরি অসন্তোষ প্রকাশ করেছে ভারতের রুশ তেল কেনা নিয়ে। এই যুক্তি দেখিয়ে রয়টার্সের তরফে বলা হয়, ভারতের চারটি শোধনাগার নাকি গত এক সপ্তাহে রুশ তেল কেনা বন্ধ করে দিয়েছে। এই চারটি শোধনাগার হল, ইন্ডিয়ান ওয়েল কর্পোরেশন, হিন্দুস্তান পেট্রোলিয়াম, ভারত পেট্রোলিয়াম এবং ম্যাঙ্গালোর রিফাইনারি অ্যান্ড পেট্রো কেমিক্যালস।
ভারতে রুশ দূতাবাসের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, চলতি বছরের শেষেই ভারত সফরে আসবেন পুতিন। নয়াদিল্লিতে মোদীর সঙ্গে বৈঠকও করবেন তিনি। তবে ভারত সফরের দিনক্ষণ এখনও চূড়ান্ত হয়নি। রাশিয়ার সঙ্গে ব্যবসার জন্য ভারতের উপর অতিরিক্ত ২৫ শতাংশ শুল্ক চাপিয়েছে আমেরিকা। আগামী ২৮ অগস্ট থেকে ওই বাড়তি শুল্ক কার্যকর হওয়ার কথা। এ অবস্থায় ভারতীয় পণ্যের জন্য রাশিয়ার দরজা খোলা রাখার বার্তা দিল মস্কো। রুশ দূতবাস জানিয়েছে, ভারত এবং রাশিয়ার মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য বছরে ১০ শতাংশ হারে বৃদ্ধি পাবে বলে আশা করা হচ্ছে। মস্কোর কাছে নয়াদিল্লি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলেও জানিয়েছে রুশ দূতাবাস। বস্তুত, রাশিয়া থেকে তেল কেনা দেশগুলির মধ্যে প্রথম সারিতেই রয়েছে ভারত এবং চিন। এ অবস্থায় নয়াদিল্লির পাশাপাশি বেজিঙের উদ্দেশেও বার্তা দিয়েছে রুশ দূতাবাস। তারা জানিয়েছে, শীঘ্রই ভারত, চিন এবং রাশিয়ার মধ্যে ত্রিপাক্ষিক বৈঠক হতে পারে।