WB Assembly: জনগণমন বাংলায় লেখা, জানেই না BJP-র মালব্যরা, তোপ তৃণমূলের

জনগণমনকে ‘ব্রাহ্ম মন্ত্র’ বলে টুইট মালব্যর। তিনি জানেনই না এটি বাংলা ভাষা। একটু জেনে টুইট করতে হবে। না হলে দেশ থেকে কুইট করতে হবে।

September 2, 2025 | 2 min read
Published by: Drishti Bhongi

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: ২০:১২: বাংলার সংস্কৃতি ও ভাষার গৌরব রক্ষা করতে বুধবার বিধানসভার বিশেষ অধিবেশনে কার্যত তুলোধোনা করা হল বিজেপিকে। তৃণমূল বাংলার ঐতিহ্য তুলে ধরে বলে, গেরুয়া শিবির বাংলার সংস্কৃতি ও ভাষার সংরক্ষণে আগ্রহী নয়। শাসকদলের পক্ষ থেকে বলা হয়, “বাংলার ক্ষুদিরামকে আমরা নাথুরামকে দিয়ে অপমানিত হতে দেব না।”

পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী, মঙ্গলবার বিশেষ অধিবেশনে পেশ হয়েছিল বাঙালি ‘হেনস্তা’ বিরোধী প্রস্তাব। তা নিয়েই বাকযুদ্ধে জড়ায় তৃণমূল-বিজেপি। ফিরহাদ বলেন, “বাংলা বললেই কি আমরা বাংলাদেশি? আমরা ভারতীয় বাঙালি। বিজেপি বাংলা বিরোধী। ব্রিটিশরা যখন বাংলা ভাগ করে, তখন থেকে আপনারা মানুষের মনে ঘৃণা জাগিয়ে দিতে চেয়েছেন। আজও অস্তিত্বকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে চান।” তিনি বাম থেকে বিজেপিতে আসা বিধায়ক শংকর ঘোষকে কটাক্ষ করে বলেন, “আপনি যে দলে ছিলেন তখনও রবীন্দ্রনাথকে ‘বুর্জোয়া কবি’ বলেছিলেন। আজ যে দলে আছেন, সেই দলও কবিগুরুকে অপমান করছে। ধর্মীয় অন্ধকারে দেশকে পিছিয়ে দিতে চাচ্ছেন।”

শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু বলেন, “উর্দু ভাষা ভারতীয় ভাষা, সপ্তম শিডিউলে স্বীকৃত। এই ভাষাকে অসম্মান করবেন না। কিন্তু বাংলাকে উপভাষা হিসেবে ভাবার চেষ্টা চলছে। বাংলার ঐতিহ্য ও গরিমা তারা জানে না, বাংলাকে তারা ভয় পায়।”

চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য জাতীয় সঙ্গীত ও জাতীয় স্তোত্রের পেছনের বাঙালি স্রষ্টাদের অবদান স্মরণ করিয়ে দেন। তিনি বিজেপি আইটি সেলের প্রধান অমিত মালব্যর বিতর্কিত মন্তব্যকে উল্লেখ করেন, যেখানে তিনি বাংলা ভাষার অস্তিত্ব প্রশ্নবিদ্ধ করেছিলেন। চন্দ্রিমা বলেন, “জনগণমনকে ‘ব্রাহ্ম মন্ত্র’ বলে টুইট করেছেন মালব্য। তিনি জানেনই না এটি বাংলা ভাষা।”

তিনি আরও জানান, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের লেখা ‘জনগণমন’-এর প্রথম স্তবক ১৯৫০ সালের ২৪ জানুয়ারি জাতীয় সঙ্গীত হিসেবে গৃহীত হয়। অধিবেশনে তিনি দ্বিতীয় স্তবকও পাঠ করেন এবং অমিত মালব্যকে কটাক্ষ করে বলেন, “একটু জেনে টুইট করতে হবে। না হলে দেশ থেকে কুইট করতে হবে।”

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

ভিডিও

আরও পড়ুন

Decorative Ring
Maa Ashchen