ডবল ইঞ্জিন ছত্তীসগড়ে স্বাস্থ্য পরিষেবায় অচলাবস্থা, ‘দমননীতির’ প্রতিবাদে গণইস্তফা ১৪ হাজার কর্মীর
‘‘গোপন রিপোর্টে স্বচ্ছতা, জরুরি পরিস্থিতিতে ৩০ দিনের ছুটি, ২৭ শতাংশ বেতন বৃদ্ধি ও ন্যূনতম ১০ লক্ষ টাকার ক্যাশলেস বিমা কার্যকর হচ্ছে।’

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি, ২১.২৫: বিজেপি শাসিত ছত্তীসগড়ে জাতীয় স্বাস্থ্য মিশনের পরিষেবা কার্যত মুখ থুবড়ে পড়েছে। আন্দোলনকারী ২৫ জন কর্মীকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করার প্রতিবাদে একযোগে ইস্তফা দিয়েছেন প্রায় ১৪,৬৭৮ কর্মী। ধর্মঘটে রয়েছেন আরও প্রায় ১৬ হাজার চিকিৎসক, নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মী।
গত ১৮ অগস্ট থেকে ১০ দফা দাবিতে আন্দোলন চালাচ্ছেন এনএইচএম (NHM) কর্মীরা। তাঁদের দাবি- চাকরি নিয়মিতকরণ, গ্রেড পে, স্বাস্থ্যক্যাডার গঠন ও সহানুভূতিশীল নিয়োগ। দাবি মানার বদলে বরখাস্তের চিঠি ধরিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ সংগঠনের। সংগঠনের সভাপতি ডা. অমিত কুমার মিরি ও সাধারণ সম্পাদক কৌশলেশ তিওয়ারিসহ শীর্ষ নেতৃত্বকেও চাকরি থেকে সরানো হয়েছে। তাঁদের অভিযোগ, ‘‘এটা নিছক দমননীতি, সরকার আলোচনায় বসতে চাইছে না।’’
অভিযোগ উঠেছে, ধর্মঘটের জেরে টিকাকরণ, নবজাতকের চিকিৎসা, ফিজিয়োথেরাপি, জন্ম-মৃত্যু শংসাপত্র ইস্যু ও টিবি-র ওষুধ সরবরাহ কার্যত বন্ধ হয়ে গিয়েছে। স্বাস্থ্য দপ্তরের একাধিক আধিকারিকও পরিষেবা ব্যাহত হওয়ার কথা স্বীকার করেছেন।
অন্যদিকে, রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তরের দাবি, কর্মীদের অনেকগুলি দাবি ইতিমধ্যেই মেনে নেওয়া হয়েছে। এনএইচএম মিশন ডিরেক্টর ডা. প্রিয়াঙ্কা শুক্লা জানান, ‘‘গোপন রিপোর্টে স্বচ্ছতা, জরুরি পরিস্থিতিতে ৩০ দিনের ছুটি, ২৭ শতাংশ বেতন বৃদ্ধি ও ন্যূনতম ১০ লক্ষ টাকার ক্যাশলেস বিমা কার্যকর হচ্ছে।’’ তবে চাকরি নিয়মিতকরণ ও স্বাস্থ্যক্যাডার গঠনের মতো মূল বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে মুখ্যমন্ত্রী ও মন্ত্রিসভা।
আন্দোলনকারীদের দাবি, বারবার স্মারকলিপি দেওয়ার পরও সমাধান হয়নি। সংগঠনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, শনিবার রায়পুরে সাংবাদিক বৈঠক করে পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।