সংখ্যালঘু অধ্যুষিত এলাকায় অশান্তি ছড়ানোর ছক BJP-র! বসিরহাট ও যাদবপুর-ডায়মন্ড হারবারের নেতৃত্বকে সতর্কবার্তা অভিষেকের

September 16, 2025 | < 1 min read
Published by: Drishti Bhongi

May be an image of 3 people and text

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি, ১০.৫২: সীমান্তবর্তী সংখ্যালঘু অধ্যুষিত এলাকায় ফের অশান্তির আগুন জ্বালাতে পারে বিজেপি, এমন আশঙ্কা প্রকাশ করলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। মঙ্গলবার বসিরহাট ও যাদবপুর-ডায়মন্ড হারবার সাংগঠনিক জেলা নিয়ে দলের বৈঠকে তিনি হুঁশিয়ারি দেন, বিজেপি (BJP) পরিকল্পিতভাবে একটি নির্দিষ্ট সম্প্রদায়কে টার্গেট করে বিভাজনের রাজনীতি করতে চাইছে।

বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন তৃণমূলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সি-সহ শীর্ষ নেতৃত্ব। অভিষেক স্পষ্ট জানান, গেরুয়া শিবিরের ফাঁদে কেউ যেন না পা দেন। বিশেষ করে বসিরহাট ও সন্দেশখালি নিয়ে অতীতে সাম্প্রদায়িক উসকানি ও ভুয়ো অভিযোগ তুলে বিজেপি বাংলার ভাবমূর্তি নষ্ট করতে চাইছে বলে অভিযোগ করেন তিনি। আসন্ন বিধানসভা ভোটের আগে এ ধরনের ষড়যন্ত্র ভেস্তে দিতে স্থানীয় স্তরে জনসংযোগ জোরদারের বার্তা দেন অভিষেক (Abhishek Banerjee)।

তৃণমূল (TMC) সূত্রে খবর, অভিষেক সতর্ক করে বলেন, বিজেপি শুধু হিন্দু-মুসলিম বিভাজনই নয়, সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ভেতরেও বিভক্তি তৈরির চেষ্টা করছে। হিঙ্গলগঞ্জে স্থানীয় বিধায়ক ও শ্রমিক সংগঠনের সভাপতির বিরোধ নিয়েও অসন্তোষ প্রকাশ করেন তিনি।

উৎসবের মরশুমে মানুষের পাশে থাকার ওপরও জোর দেন সাংসদ। তিনি নির্দেশ দেন, পুজোর সময় পাড়ার কমিটিগুলির মাধ্যমে জনসংযোগ বাড়াতে হবে। বড় সভার পরিবর্তে ছোট ছোট বৈঠকে রাজ্য সরকারের সামাজিক প্রকল্প তুলে ধরার ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন। একইসঙ্গে জানানো হয়েছে, বসিরহাট লোকসভার উপনির্বাচন বিধানসভা ভোটের সঙ্গেই হতে পারে।

ডায়মন্ড হারবার তাঁর নিজের কেন্দ্র হওয়ায় সেখানে বিশেষ নজর রাখছেন অভিষেক। এলাকার মানুষ পুজোর মধ্যে যাতে কোনও সমস্যায় না পড়েন, সেই নির্দেশও দিয়েছেন তিনি। পাশাপাশি, দুই সাংগঠনিক জেলার টাউন ও ব্লক সভাপতিদের প্রস্তাবিত নাম দলের কাছে জমা পড়েছে। চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

ভিডিও

আরও পড়ুন

Decorative Ring
Maa Ashchen