দুর্গাপুজোয় প্রবাসী বাঙালিদের মধ্যে জনসংযোগ, ‘হেনস্থা ইস্যু’ চাপা দিয়ে ২৬শের ভোট বৈতরণী পারের কৌশল বঙ্গ BJP-র?

September 19, 2025 | 2 min read
Published by: Drishti Bhongi

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি, ১৯:৫৫: বিজেপি শাসিত রাজ্যে একের পর এক বাঙালিদের উপর হামলার অভিযোগে চাপে গেরুয়া শিবির। তৃণমূল ইতিমধ্যেই এই ইস্যুতে বড় আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিয়েছে। ২৬শের বিধানসভা ভোটের আগে তাই সংকটে পড়েছে বিজেপি। বিজেপি সূত্রে জানা গিয়েছে, “বাংলা ভাষার অপমান” আর “বাঙালি হেনস্থা”র মতো ইস্যু যে বিপরীতে যেতে পারে, তা বুঝেই এখন ভরসা রাখতে হচ্ছে প্রবাসী বাঙালিদের উপর।

দুর্গাপুজোকে কেন্দ্র করে দেশজুড়ে প্রবাসী বাঙালিদের পুজো কমিটিতে পৌঁছে গিয়েছেন বঙ্গ বিজেপির নেতারা। এই কর্মসূচির নেপথ্যে রয়েছেন কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। পুরো পরিকল্পনার দায়িত্বে রয়েছেন সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক দুষ্যন্তকুমার গৌতম ও তরুণ চুঘ। তাঁদের তত্ত্বাবধানে রাজ্যের নেতারা ঘুরছেন দিল্লি, মুম্বই, পুণে, সুরত, বারাণসী, জয়পুর, বেঙ্গালুরু, রাঁচি, ভুবনেশ্বর, চেন্নাই, হায়দরাবাদ থেকে শুরু করে আন্দামান ও চণ্ডীগড় পর্যন্ত।

চণ্ডীগড়ে দায়িত্ব পেয়েছিলেন রাহুল সিংহ, আন্দামানে অমিতাভ রায়। দু’জনেই ইতিমধ্যেই কাজ শেষ করেছেন। রাহুল সিংহের দাবি, ‘‘কোথাও কোনও বাঙালি হেনস্থা নেই। তৃণমূলের সাজানো গল্প লোকে বিশ্বাসও করছে না।” তবে তিনিও মানছেন, আসন্ন নির্বাচনের সঙ্গে এই কর্মসূচির যোগ রয়েছে। তাঁর কথায়, ‘‘যাঁদের সঙ্গে দেখা করছি, তাঁদের অনেকের আত্মীয়-স্বজন বাংলার ভোটার। তাঁরা আমাদের বার্তা পৌঁছে দেবেন।”

রাজ্যের বর্তমান সভাপতি শমীক ভট্টাচার্য যাচ্ছেন গুজরাতের সুরতে, আর প্রাক্তন সভাপতি সুকান্ত মজুমদার যাচ্ছেন বারাণসীতে। দুই শহরেই বাঙালির সংখ্যা চোখে পড়ার মতো। বিশেষ করে সুরতের বহু বাঙালি এখনও বাংলার ভোটার। তাই তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগকে গুরুত্ব দিচ্ছে বিজেপি।

এর মধ্যেই লকেট চট্টোপাধ্যায় দেহরাদূন-হরিদ্বার, কেয়া ঘোষ দিল্লির একাধিক পুজো কমিটি, রথীন্দ্রনাথ বসু মহারাষ্ট্রের শহরগুলিতে জনসংযোগ সেরে এসেছেন। মুম্বইয়ে দায়িত্ব ভাগ করা হয়েছে রূপা গঙ্গোপাধ্যায়, রুদ্রনীল ঘোষ ও নিশীথ প্রামাণিকের মধ্যে। রূপা-রুদ্রনীল বৈঠক শেষ করেছেন, নিশীথ যাবেন শিগগিরই।

সবচেয়ে বেশি কৌতূহল শমীক-সুকান্তের সফর নিয়ে। কারণ, তাঁরা যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রীর রাজ্য ও নির্বাচনী কেন্দ্রে। বিজেপির একটি সূত্র বলছে, মোদীর সঙ্গে সরাসরি সম্পর্কিত বিষয়ে তাঁর মতামত না নিয়ে কোনও সিদ্ধান্ত হয় না। শমীকের কথায়, ‘‘সব কিছুর নেপথ্যেই ভাবনাচিন্তা থাকে। ভাবনাচিন্তা না করে এই দলে কোনও কাজ হয় না।”

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

ভিডিও

আরও পড়ুন

Decorative Ring
Maa Ashchen