আত্মনির্ভর হওয়ার পথে আরও এক ধাপ এগিয়ে গেল দেশ, জাতির উদ্দেশে ভাষণে দাবি মোদীর

September 21, 2025 | 3 min read
Published by: Drishti Bhongi

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি, ১৭:৩০: আজ, রবিবার বিকেল ৫ টায় জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (PM Modi)। আগামীকাল সোমবার থেকে দেশজুড়ে চালু হচ্ছে নেক্সট জেনারেশন জিএসটি (GST Reform)। তার আগে দেশবাসীর উদ্দেশে বড় বার্তা দিলেন মোদী। জাতির উদ্দেশে ভাষণে তিনি জানালেন, আত্মনির্ভর হওয়ার পথে আরও এক ধাপ এগিয়ে গেল দেশ। তাঁর দাবি, আয়কর ও জিএসটির নতুন হারে দেশবাসীর ২.৫ লক্ষ কোটি টাকা লাভ হবে। মোদীর মতে, জিএসটি-র এই নয়া সংস্করণ ভারতের উন্নয়নের যাত্রাকে আরও তরান্বিত করবে, সমস্ত রাজ্যের বিকাশ হবে।

উল্লেখ্য, আগামীকাল অর্থাৎ সোমবার থেকে লাগু হচ্ছে জিএসটির নয়া সংস্করণ (GST Reform)। নতুন জিএসটি সংস্কার অনুযায়ী পুজোর আগে নিত্য প্রয়োজনীয় একাধিক জিনিসের দাম কমতে পারে। এখন, মাত্র দুটি জিএসটি ধাপ ৫ শতাংশ এবং ১৮ শতাংশের বহাল রাখা হয়েছে। ১২ এবং ২৮ শতাংশ কর স্ল্যাব বাদ দেওয়া হয়েছে। কিছু পণ্যের জিএসটি হার শূন্যে নামিয়ে আনা হয়েছে। সেই নিয়েই জাতির উদ্দেশে ভাষণ দিলেন নরেন্দ্র মোদী ( Narendra Modi)।

তিনি বলেন, “উৎসবের মরশুমে সকলের মুখ মিষ্টি হবে, পরিবারে খুশি আসবে। কোটি কোটি পরিবারকে অভিনন্দন এই অর্থ বাঁচানোর উৎসবে। এই সংস্করণ ভারতের উন্নয়নের যাত্রাকে আরও তরান্বিত করবে, সমস্ত রাজ্যের বিকাশ হবে। ২০১৭ সালে জিএসটি নিয়ে যখন কাজ শুরু হয়েছিল তখন নতুন ইতিহাস গড়েছিল দেশ।
সবাই একাধিক ট্যাক্সের জালে ফেঁসেছিলেন। না জানি কত ট্যাক্স ছিল, একটা শহর থেকে অন্য শহরে জিনিস পাঠাতে গেলেও কত না ফর্ম ভরতে হত, কত চেকপোস্ট পার করতে হত, নাজেহাল হয়ে যেতেন সকলে।আমার মনে আছে দেশবাসী যখন আমাকে ২০১৪ সালে দায়িত্ব দেয়, তখন এক বিদেশি খবরের কাগজে একটা প্রতিবেদন বেরিয়েছিল, একটা কোম্পানির সমস্যা নিয়ে কথা বলা হয়েছিল। সেখানে ট্যাক্সের সমস্যার কথা উঠে আসে। খুবই কঠিন ছিল পুরো বিষয়টা। এই সমস্ত খরচ আদতে গরিবদের পকেট থেকে যেত। দেশকে এই পরিস্থিতি থেকে বের করার খুবই দরকার ছিল। তাই আপনারা যখন আমাকে ২০১৪ সালে সুযোগ দিলেন, আমরা সকলের সুবিধার্থে জিএসটি নিয়ে আসি।”

তিনি আরও বলেন, “সমস্ত রাজ্যের প্রধানদের সঙ্গে কথা হয়। একাধিক পর্যায়ে আলোচনার পর জিএসটি চালু করা সম্ভব হয়েছিল। কেন্দ্র-রাজ্যের যৌথ প্রয়াস ছিল। এখন গোটা দেশ ওয়ান নেশন ওয়ান ট্যাক্সের স্বপ্ন পূরণ হয়। তবে সংস্কার করতেই হয়। সময় বদলায়, দেশের প্রয়োজন বদলায়, সংস্করণও তাই প্রয়োজন হয়। দেশের বর্তমানে কী প্রয়োজন, ভবিষ্যৎ কোন পথে উন্নত হবে, তা মাথায় রেখে এই সংস্করণ লাগু হবে।”

মোদী জানান, “এখন শুধু ৫ ও ১৮ শতাংশই ট্যাক্স থাকবে। সস্তা হবে রোজকার জিনিস। ব্রাশ, পেস্ট, সাবান, জীবন বিমা-সহ একাধিক জিনিস হয় ট্যাক্স ফ্রি হবে না হয় মাত্র ৫ শতাংশ ট্যাক্স দিতে হবে। গত ১১ বছরে দেশে ২৫ কোটি মানুষ দারিদ্র থেকে মুক্তি পেয়েছেন। এই বছর সরকার ১২ লাখ টাকা পর্যন্ত আয় ইনকাম ট্যাক্স মুক্ত করেছে। এটা উপহার সরকারের। এমন হলে মধ্যবিত্তের জীবনে বিরাট পরিবর্তন আসার কথা। এবার গরিব মানুষদের সময়। দেশবাসী এখন স্বপ্ন পূরণ করতে পারবে আগের চেয়ে তাড়াতাড়ি। গাড়ি থেকে জিনিস, ঘর বানানো থেকে শখ পূরণ, ভ্রমণ থেকে খাওয়াদাওয়া, সবই তো সস্তা হচ্ছে। হোটেলের খরচাও কমছে। আমি বিশ্বাস করি দোকানদার ভাই-বোনেরাও এই জিএসটি সংস্করণ নিয়ে খুবই খুশি। আমরা মনে করি, নাগরিক দেব ভব। যেভাবে আমরা এগোচ্ছি, তা আমাদের এই সংস্করণের মাধ্যমে প্রকাশ পাচ্ছে। এক বছরে দেশবাসীর আড়াই লক্ষ কোটি টাকা বাঁচবে। বিকশিত ভারতের জন্য আত্মনির্ভর হতেই হবে। আর ভারতকে আত্মনির্ভর বানানোর দায়িত্ব এমএসএমই-গুলোর ওপর আছে। দেশে যা যা বানাতে পারি, তা দেশেই বানানো উচিত। জিএসটি কম হওয়ায় ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পের সঙ্গে জড়িত মানুষজনের বিরাট লাভ হবে। বিক্রি বাড়বে, এদিকে ট্যাক্স কম দিতে হবে।”

দেশের রাজ্য সরকারগুলোর প্রতি অনুরোধ জানিয়ে মোদী বলেন, “আত্মনির্ভর ভারতের এই অভিযানে সামিল হোন, উৎসাহ নিয়ে নিজের নিজের এলাকায় শিল্প বাড়ান। সবাই এগিয়ে এলে স্বপ্ন পূরণ হবে। রাজ্যের উন্নতি হবে, দেশের তো হবেই। আমি সকলকে আবারও অর্থ সাশ্রয় উৎসব ও নবরাত্রির শুভেচ্ছা জানাচ্ছি।”

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

ভিডিও

আরও পড়ুন

Decorative Ring
Maa Ashchen