চোখের জলে শেষ বিদায়: রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় সম্পন্ন জুবিন গর্গের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি, ২১:৩১: অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া সম্পন্ন হলো গায়ক জুবিন গর্গের। প্রিয়জন থেকে অনুরাগী-সকলেই অশ্রুজলে তাঁকে শেষ বিদায় জানাতে উপস্থিত ছিলেন। মৃতদেহের পাশে বসে কান্নায় ভেঙে পড়লেন স্ত্রী গরিমা। পূর্ণ রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় শেষকৃত্য সম্পন্ন হয় গায়কের।
২০০১ সালে ‘মায়াবিনী’ গান নিয়ে জুবিন বলেছিলেন, “আমি যখন মারা যাব, তখন অসমের উচিত এই গানটি গাওয়া।” মঙ্গলবার, অসমের ‘প্রিয় রকস্টার’-কে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় গান স্যালুটের মাধ্যমে শেষকৃত্য সম্পন্ন হলো। লক্ষ লক্ষ ভক্তের মুখে শোনা যায় ‘মায়াবিনী’র সেই লাইন, যা তার সমস্ত অ্যালবামের মধ্যে সবচেয়ে প্রিয় ছিল।
গায়কের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ার ভিডিয়ো সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। স্বামীর শেষযাত্রায় এক মুহূর্তও পাশ থেকে সরেননি স্ত্রী গরিমা। উপচে পড়ছিল ভিড়। জুবিনের ছোট বোন পামী বড়ঠাকুর তাঁর মুখে আগুন দেন। সঙ্গে ছিলেন ঘনিষ্ঠ সহযোগী অরুণ এবং কবি-গীতিকার রাহুল।
রবিবার অসমে পৌঁছেছে জুবিন গর্গের নিথর দেহ। প্রিয় শিল্পীকে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে পথে নামেন হাজারো অনুরাগী। সোমবারও সরুসজাই স্টেডিয়ামে একই চিত্র দেখা যায়। এ দিন তাঁর চার পোষ্য সারমেয়ও শেষকৃতিতে উপস্থিত ছিল।
গুয়াহাটির কাছে কামরূপ জেলার কামারকুচি এনসি গ্রামে অনুষ্ঠিত হয় শেষকৃত্য। শ্মশানযাত্রা শুরু হয় অর্জুন ভোগেশ্বর বড়ুয়া স্পোর্টস কমপ্লেক্স থেকে, যেখানে তাঁর দেহ জনসাধারণের জন্য রাখা হয়েছিল। একটি ভিডিয়োতে দেখা যায়, স্ত্রী গরিমা সুপুরি দিয়ে পান সাজাচ্ছেন জুবিনের জন্য। গায়ক পান খেতে ভীষণ পছন্দ করতেন, তাই শেষযাত্রায় তার এই আয়োজন অনুরাগীদের চোখে জল এনে দেয়।