শুল্ক ইস্যুতে মোদী-পুতিন ফোনালাপ? ন্যাটো প্রধানের দাবিকে ‘মিথ্যা ও ভিত্তিহীন’ বলল ভারত

September 26, 2025 | 2 min read
Published by: Saikat

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি, ২০:৩০:  ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে ঘিরে ন্যাটো সেক্রেটারি জেনারেল মার্ক রুটের (NATO Chief)মন্তব্যে শুরু হয়েছে বিতর্ক। তাঁর দাবি, আমেরিকার শুল্ক চাপানোর পর মোদী রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে (Vladimir Putin) ফোন করেছিলেন। এই মন্তব্যের কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই ভারতের তরফে কড়া প্রতিক্রিয়া আসে।

শুক্রবার বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল (Randhir Jaiswal) স্পষ্টভাবে জানান, “ন্যাটো প্রধানের যে দাবি করা হয়েছে, তা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। শুল্ক সংক্রান্ত কোনও আলোচনাই প্রধানমন্ত্রী মোদী ও পুতিনের মধ্যে হয়নি।” তিনি আরও বলেন, “এই ধরনের দায়িত্বজ্ঞানহীন মন্তব্য ন্যাটোর মতো সংস্থার কাছ থেকে কাম্য নয়। তথ্য যাচাই না করে এমন মন্তব্য গ্রহণযোগ্য নয়।”

তিনি আরও বলেন, “ন্যাটো একটি গুরুত্বপূর্ণ আন্তর্জাতিক সংস্থা। তাদের প্রতিনিধিদের উচিত দায়িত্বশীল আচরণ করা এবং তথ্য যাচাই করে তবেই মন্তব্য করা। প্রধানমন্ত্রীকে ঘিরে এমন মন্তব্য গ্রহণযোগ্য নয় এবং এটি দায়িত্বজ্ঞানহীনতার উদাহরণ।”

রাষ্ট্রসংঘের সাধারণ সভার অধিবেশনের সময় এক মার্কিন সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ন্যাটো (NATO) সেক্রেটারি জেনারেল মার্ক রুট (General Mark Rutte) দাবি করেন, “ভারত রাশিয়া থেকে তেল কেনে বলেই আমেরিকা ভারতীয় পণ্যের উপর ৫০ শতাংশ শুল্ক চাপিয়েছে। এর ফলে রাশিয়ার উপর বড়সড় প্রভাব পড়ছে। এই পরিস্থিতিতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে ফোন করেছেন। রাশিয়ার পাশে থাকার বার্তা দিয়েছেন, পাশাপাশি ইউক্রেন ইস্যুতে রাশিয়ার কৌশল সম্পর্কেও জানতে চেয়েছেন।”

সাম্প্রতিক সময়ে ভারত-আমেরিকার দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক নানা চড়াই-উতরাইয়ের মধ্য দিয়ে গেছে। রাশিয়া (Russia) থেকে জ্বালানি তেল আমদানির অভিযোগে প্রথমে ২৫ শতাংশ এবং পরে আরও ২৫ শতাংশ শুল্ক (Tariffs) চাপিয়েছে আমেরিকা। সব মিলিয়ে ভারতের উপর মোট ৫০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছে ওয়াশিংটন।

আমেরিকার দাবি, রাশিয়ার কাছ থেকে তেল কেনার ফলে ইউক্রেনে রুশ আগ্রাসনে পরোক্ষভাবে মদত দিচ্ছে ভারত। এমনকি প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পও (Donald Trump) এই বিষয়ে প্রকাশ্যে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।

এই পরিস্থিতিতে ন্যাটো প্রধান মার্ক রুটের মন্তব্য ঘিরে বিতর্ক আরও ঘনীভূত হয়েছে। তাঁর দাবি, শুল্ক চাপানোর পর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi) রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে ফোন করে রাশিয়ার পাশে থাকার বার্তা দিয়েছেন এবং ইউক্রেন ইস্যুতে রাশিয়ার কৌশল জানতে চেয়েছেন। এই দাবিকে সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন বলে খারিজ করেছে ভারতের বিদেশমন্ত্রক। মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল বলেন, “আমরা আগেও স্পষ্ট করে দিয়েছি, ভারতের জ্বালানি আমদানির উদ্দেশ্য হল দেশবাসীর জন্য স্থিতিশীল ও সাশ্রয়ী মূল্য নিশ্চিত করা। জাতীয় স্বার্থ ও আর্থিক নিরাপত্তা রক্ষায় ভারত প্রয়োজনীয় সব পদক্ষেপ নেবে।”

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

ভিডিও

আরও পড়ুন

Decorative Ring
Maa Ashchen