সোনম ওয়াংচুকের গ্রেপ্তারি নিয়ে সরব হয়েছে তৃণমূল-সহ বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি, কোন জেলে রাখা হয়েছে তাঁকে?

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি, ১৪:৪০: গত মঙ্গলবার লাদাখে হিংসার ঘটনায় চার জনের মৃত্যু হয়, আহত হন ৫০ জনের বেশি, যার মধ্যে নিরাপত্তাকর্মীরাও ছিলেন। এই ঘটনায় দায়ী করে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বাস্তবের ‘ফুনশুক ওয়াংডু’ সোনম ওয়াংচুককে। শুক্রবার তাঁকে গ্রেপ্তার করে নিয়ে যাওয়া হয় রাজস্থানের যোধপুর সেন্ট্রাল জেলে।
লাদাখে ‘গণবিক্ষোভে’র ২ দিন পর শুক্রবার আন্দোলনের প্রধান মুখ পরিবেশকর্মী সোনম ওয়াংচুককে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তাঁর বিরুদ্ধে আন্দোলনকারীদের উসকানি এবং হিংসায় ইন্ধন দেওয়ার অভিযোগ তোলা হয়। শুক্রবার এক সাংবাদিক সম্মেলন করার কথা ছিল সোনমের। সেই সাংবাদিক সম্মেলনের ঠিক পাঁচ মিনিট আগে তিনি গ্রেপ্তার হন। সূত্রের খবর, গ্রেপ্তারির পরই সোনমকে লাদাখ থেকে সরিয়ে রাতারাতি নিয়ে যাওয়া হয় লেহ থেকে ১৪০০ কিলোমিটার দূরে রাজস্থানের যোধপুরে।
সোনমের গ্রেপ্তারির পর লেহ-তে যাতে অশান্তি না ছড়ায় সেটা নিশ্চিত করতে শহরের ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করে দেওয়া হয়। কড়া পুলিশি প্রহরায় রাখা হয়েছে গোটা শহরকে। জমায়েতেও নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। এদিকে ওয়াংচুকের বিরুদ্ধে জাতীয় নিরাপত্তা আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে। এই আইনে সরকার স্রেফ সন্দেহের বশে সন্দেহভাজনকে দিনের পর দিন আটকে রাখতে পারে। মেলে না জামিনও। সোনমের সঙ্গেও তেমনটা হতে পারে বলে তাঁর অনুগামীদের আশঙ্কা।
গত কয়েকদিন ধরেই সোনম ওয়াংচুক অনশন করছিলেন। সরকারের সঙ্গে আলোচনার প্রস্তাব দেওয়া হলেও তিনি অনশন চালিয়ে যান। প্রশাসনের অভিযোগ, তাঁর কর্মসূচির পিছনে ছিল ‘অভিসন্ধি’। ওয়াংচুককে জাতীয় নিরাপত্তা আইন (এনএসএ) অনুসারে আটক করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
এদিকে, তাঁর গ্রেফতারির খবর ছড়িয়ে পড়তেই সরব হয়েছে বিজেপি বিরোধী শিবির। কংগ্রেস মুখপাত্র জয়রাম রমেশ অভিযোগ করেছেন, বিজেপি সরকার লাদাখে আইনের শাসন বজায় রাখতে ব্যর্থ, সেই দায় আড়াল করতেই পরিবেশ কর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
তৃণমূল কংগ্রেস এবং আম আদমি পার্টি-সহ একাধিক বিরোধী দলও গ্রেফতারির নিন্দা করেছে। ওয়াংচুকের মুক্তির দাবিতে দিল্লিতে মোমবাতি মিছিলও করেছে আপ।