টার্গেট ২৬শের নির্বাচন, বহুমুখী প্রতিভার খোঁজে আলিমুদ্দিন

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি, ২০:০৫: কেন পার করা যাচ্ছে না শূন্যের গেরো? চিন্তায় বঙ্গ সিপিএম। তাই এ নিয়ে মরিয়া হয়েই আলিমুদ্দিন স্ট্রিটে ১৯ ও ২০ জুন রাজ্য কমিটির বৈঠক বসেছিল সিপিএমের। সেখানে উঠে এসেছিল এই প্রশ্ন। এছাড়াও জানা গিয়েছে, পার্টির সোশ্যাল মিডিয়ায় জনপ্রিয়, কিন্তু রাজনীতির মাঠে কেন শূন্যই, বাম নেতৃত্বের একাংশ এনিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।
২০২৬-এর বিধানসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে আলিমুদ্দিন চাইছে এমন নেতাদের, যাঁরা একাধিক ক্ষেত্রে দক্ষ-ভালো বক্তা, দক্ষ সংগঠক, সোশাল মিডিয়ায় পারদর্শী এবং জনগ্রহণযোগ্য। শুধু তাত্ত্বিক আলোচনা বা মার্কসবাদ-লেনিনবাদ ব্যাখ্যার মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকলে চলবে না, এমনটাই বার্তা রাজ্য নেতৃত্বের।
পার্টির অভ্যন্তরীণ চিঠিতে স্পষ্টভাবে বলা হয়েছে, নেতৃত্বকে হতে হবে উদাহরণযোগ্য এবং বহুমুখী প্রতিভার অধিকারী। দীর্ঘ ৩৪ বছরের শাসনের পর ১৪ বছর ধরে বিরোধী আসনে থাকা সিপিএম (CPM) এখন স্বীকার করছে সাংগঠনিক কাঠামো ও নেতৃত্বে ঘাটতি রয়েছে। বিশেষ করে শাখা সংগঠনের দুর্বলতা, কর্মসূচিতে কমরেডদের অনুপস্থিতি এবং দক্ষ শাখা সম্পাদকের অভাব, সবই উঠে এসেছে রিপোর্টে।
এই প্রেক্ষাপটে জেলাভিত্তিক সাংগঠনিক রিপোর্ট জমা পড়ছে আলিমুদ্দিনে। তবে নেতৃত্বের মানোন্নয়নের পাশাপাশি দলের অভ্যন্তরীণ শৃঙ্খলা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে। সুশান্ত ঘোষ, বংশগোপাল চৌধুরীদের বিরুদ্ধে মহিলাঘটিত অভিযোগ এবং এসএফআই (SFI) নেতার বিরুদ্ধে যৌন হেনস্তার অভিযোগে দল ব্যবস্থা নিয়েছে। এসব ঘটনা দলকে ভাবাচ্ছে, এবং তাই আরও বেশি মনোযোগী হতে চাইছে সিপিএম।
রাজনৈতিক মহলের মতে, আলিমুদ্দিনের এই ‘মাল্টিট্যালেন্ট’ নেতৃত্বের খোঁজ আসলে ২৬শেরভোট বৈতরণীর পার করার চেষ্টা। তবে বাস্তবের মাটিতে ‘শূন্য’ পার্টির ভবিষ্যৎ আলোকিত হবে, না কি অন্ধকারেই থেকে যাবে তা সময়ই বলবে।