নজির গড়ল দুর্গাপুজো কার্নিভাল ২০২৫, মঞ্চে চাঁদের হাট! অংশগ্রহণে সেঞ্চুরি পার
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি, ১৮.১৫: বৃষ্টি মাথায় করেই শুরু হল রেড রোডে বিসর্জনের শোভাযাত্রা অর্থাৎ দুর্গাপুজো কার্নিভাল। (Durga Puja Carnival) ঝমঝমিয়ে বৃষ্টিতেও ভাঁটা পড়ছে না শোভাযাত্রায়। একের পর এক ক্লাবগুলি শোভাযাত্রায় অংশ নিচ্ছে। কার্নিভালের মঞ্চে উপস্থিত রয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)।
এদিন রামমোহন সম্মিলনীর শোভাযাত্রায় মুখ্যমন্ত্রীর গানে নৃত্য পরিবেশিত হয়। হরিদেবপুর অজয় সংহতির শোভাযাত্রায় মুখ্যমন্ত্রীর লেখা এবং ইন্দ্রনীল সেনের গাওয়া একটি গানে নাচ পরিবেশন করা হয়। অভিনেতা-অভিনেত্রী এবং দলের মহিলা সাংসদ-বিধায়কদের সঙ্গে নৃত্যে সামিল হন মুখ্যমন্ত্রী। বডিগার্ড পুলিশ লাইন্সের পুজোর ট্যাবলোর সঙ্গে নাচলেন অভিনেত্রী শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায়। দক্ষিণ কলকাতা সর্বজনীনের পুজোর কার্লিভালে নাচেন অভিনেত্রী অপরাজিতা আঢ্য।
নবম বর্ষে পা দিল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই উদ্যোগ, দুর্গাপুজো কার্নিভাল। এ বছরই প্রথম, অংশগ্রহণকারীর সংখ্যা একশোর গণ্ডি পেরিয়ে গেল। কলকাতা পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, এবারের কার্নিভালে অংশ দিচ্ছে মোট ১১৩টি পুজো কমিটি। যা এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ। ২০১৬ সালে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্যোগে শুরু হয়েছিল দুর্গাপুজো কার্নিভাল। পুজো উদ্যোক্তারা রেড রোডে থিম ও দেবীর শিল্পসজ্জা নিয়ে হাজির হয়েছেন। বৃষ্টির মধ্যেও দর্শনার্থীদের ভিড়ে মুখরিত হয়ে রয়েছে গোটা এলাকা।
এদিন ডোনা গঙ্গোপাধ্যায়ের নাচের অনুষ্ঠানের মাধ্যমে শুরু হয় এ বছরের পুজো কার্নিভাল। দীক্ষা মঞ্জরির ছাত্রীরা লাল পাড় সাদা শাড়ি পরেছিলেন, ডোনা গঙ্গোপাধ্যায় লাল শাড়ি পরে পারফর্ম করেন। কার্নিভাল উপলক্ষে যেন চাঁদের হাট বসেছিল। উপস্থিত ছিলেন বাংলার নানান জগতের একাধিক তারকা। প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়, যীশু সেনগুপ্ত, পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়, শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায়, মীনাক্ষী শেষাদ্রি, জুন মালিয়া, অপরাজিতা আঢ্য, রাইমা সেন, অঙ্কুশ হাজরা, ঐন্দ্রিলা সেন, সৌমিতৃষা কুন্ডু, লাভলি মৈত্র, তৃণা সাহা, সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রমুখ। মুখ্যমন্ত্রীকে মঞ্চে উপস্থিত সমস্ত অভিনেতা, অভিনেত্রীদের পা মেলাতে দেখা যায়।
শ্রীভূমির হয়ে পারফর্ম করেন অভিনেত্রী ঐন্দ্রিলা সেন, অভিনেতা অঙ্কুশ হাজরা এবং সোহম চক্রবর্তী। কলকাতা বডিগার্ড লাইন্সের পুজোয় মুখ্যমন্ত্রীর লেখা এবং সুর করা গানে শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায় এবং মীনাক্ষী শেষাদ্রির নৃত্য পরিবেশন করেন।