উত্তরবঙ্গে সেতু ভেঙে কেউ মারা যাননি -মোদীকে চ্যালেঞ্জ মমতার, ফের উঠল ইন্দো-ভুটান নদী কমিশনের দাবি

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি, ২১:১০: উত্তরবঙ্গের ভয়াবহ বন্যা পরিস্থিতি ঘিরে রাজনৈতিক তীব্রতর বিতর্ক। রবিবার সন্ধ্যায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi) দার্জিলিঙে সেতু ভেঙে প্রাণহানির কথা উল্লেখ করে এক্স-এ পোস্ট করেন। কিন্তু সোমবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) সেই দাবি সরাসরি খণ্ডন করে বলেন, “সেতু ভেঙে কেউ মারা যাননি। ভুল তথ্য দেওয়া হয়েছে।”
এক রাতের টানা বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে উত্তরবঙ্গের (North Bengal) বিস্তীর্ণ অঞ্চল। অন্তত ২৫ জনের মৃত্যু হয়েছে, বহু বাড়িঘর ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে, রাস্তায় ধস, সেতু ভেঙে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন। এই পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে সোমবার উত্তরবঙ্গে যান মুখ্যমন্ত্রী। সঙ্গে ছিলেন মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ (Manoj Pant)। স্থানীয় প্রশাসন ও ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি।
মমতা জানান, “যে সেতুগুলি ভেঙেছে, সেগুলি ছোট। মিরিক সেতু পুনর্নির্মাণ করতে হবে। অস্থায়ী সেতু তৈরির কাজ শুরু হয়েছে, যা সম্পূর্ণ হতে ২০ দিন সময় লাগবে। স্থায়ী সেতু নির্মাণে সময় লাগবে অন্তত এক বছর।”
এদিন মুখ্যমন্ত্রী ফের জোর দিয়ে বলেন, উত্তরবঙ্গের বন্যা পরিস্থিতি শুধু প্রাকৃতিক নয়, ‘ম্যান মেড’। তাঁর অভিযোগ, ভুটান ও সিকিম থেকে অতিরিক্ত জল এসে রাজ্যের ওপর চাপ সৃষ্টি করছে। “ভুটানে ৫৬টি নদী, সিকিমে ৪০টি জলবিদ্যুৎ প্রকল্প, সব জল এসে পড়ে উত্তরবঙ্গে,” বলেন তিনি। সেই সঙ্গে ফের ইন্দো-ভুটান নদী কমিশন গঠনের দাবি তোলেন, যা নিয়ে আগেই প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লিখেছেন বলেও জানান।
মমতা কেন্দ্রের বিরুদ্ধে বঞ্চনার অভিযোগও তোলেন। তাঁর দাবি, “কেন্দ্র বন্যা ব্যবস্থাপনার জন্য কোনও অর্থ দেয় না। গঙ্গা অ্যাকশন প্ল্যানও বন্ধ করে দিয়েছে। এটা বাংলার প্রতি বৈষম্য।”