২৬শের আগে ঘর ভাঙার আশঙ্কা, ‘বাম-ভোট রামে’ ঠেকাতে নজিরবিহীন কর্মসূচি সিপিএমের

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি, ১৬:৩২: ২০২৬ শের ভোটের আগে সংগঠনে ভাঙন ঠেকাতে তৎপর সিপিএম (CPM)। আশঙ্কা, নিচুতলার কর্মী-সমর্থকরা গেরুয়া শিবিরে যোগ দিতে পারেন। তাই বিজেপি মানে বিপদ। তা বোঝাতে শুরু হয়েছে বিশেষ কর্মসূচি – ‘পাঠচক্র’। এই পাঠচক্রের মূল উদ্দেশ্য, কর্মীদের বুঝিয়ে দেওয়া যে বিজেপি (BJP) ধর্মকে হাতিয়ার করে হিন্দুত্বের প্রচার চালাচ্ছে, যাতে কেউ বিভ্রান্ত না হন।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, নিচুতলায় এভাবে পার্টি টিকিয়ে রাখার এমন উদ্যোগ আগে দেখা যায়নি। বাম নেতৃত্বের মতে, ২০১৯ সাল থেকে বাম-ভোট রামের দিকে চলে গেছে। সেই ভোট এখনও ফেরেনি। একদিকে তৃণমূলের শক্ত অবস্থান, অন্যদিকে বিজেপির ক্রমবর্ধমান প্রভাব, এই দুই চাপের মধ্যেই সংগঠন টিকিয়ে রাখার লড়াইয়ে নেমেছে আলিমুদ্দিন স্ট্রিট।
রাজনৈতিক মহলের মত, এখন সিপিএমের কাছে দুই চ্যালেঞ্জ, ভোটে নিজেদের অস্তিত্ব বজায় রাখা এবং বিজেপির হাত থেকে সংগঠনকে রক্ষা করা। বিশেষত যখন বিজেপির রাজ্য সভাপতি শমীক ভট্টাচার্য (Samik Bhattacharya) ও বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) সরাসরি বাম কর্মীদের আহ্বান জানিয়েছেন ‘বিকল্প শক্তি’ হিসেবে বিজেপিতে যোগ দিতে।
সূত্রের দাবি, জেলার তরুণ বাম নেতাদের অনেকের কাছেই বিজেপির স্থানীয় নেতৃত্ব যোগদানের প্রস্তাব দিচ্ছে। প্রতিশ্রুতি দেওয়া হচ্ছে, দলে এলেই ভালো পদ মিলবে। বাম সংগঠনে দীর্ঘদিন পরিশ্রম করেও যাঁরা গুরুত্ব পাননি, তাঁদের টার্গেট করা হচ্ছে। আগেও যেমন বিধায়ক বঙ্কিম ঘোষ, শঙ্কর ঘোষ ও সাংসদ খগেন মুর্মুর মতো নেতারা সিপিএম ছেড়ে বিজেপিতে গিয়েছেন, তেমন নতুন ‘ঘরভাঙা’র সম্ভাবনাও উড়িয়ে দিচ্ছে না আলিমুদ্দিন।
ফলে স্পষ্ট, ২০২৬ সালের বিধানসভা ভোটের আগে বামেদের বড় চ্যালেঞ্জ শুধু ভোট নয়, নিজেদের ঘরও অক্ষত রাখা।