আগরতলায় তৃণমূল কার্যালয়ে BJP আশ্রিত দুষ্কৃতীদের হামলার অভিযোগ, প্রতিবাদে সোচ্চার ঘাসফুল শিবির

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি, ১৯:৩৩: ত্রিপুরার আগরতলায় তৃণমূল কংগ্রেসের কার্যালয়ে BJP আশ্রিত দুষ্কৃতীদের হামলার অভিযোগ। এই পরিস্থিতিতে উত্তপ্ত হয়ে রাজনৈতিক মহল। মঙ্গলবার দুষ্কৃতীদের হাতে ভাঙচুরের শিকার হয় তৃণমূলের দলীয় কার্যালয়। পতাকা ছেঁড়া, ফ্লেক্স ছিঁড়ে ফেলা এবং লাঠি হাতে হামলার ঘটনায় তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে বাংলার শাসকদল। তৃণমূলের (TMC) অভিযোগ, এই হামলার নেপথ্যে রয়েছে বিজেপি-সমর্থিত গোষ্ঠী। বুধবার ত্রিপুরায় প্রতিনিধি দল পাঠাচ্ছেন তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, হামলার সময় পুলিশ উপস্থিত থাকলেও তা প্রতিরোধে কার্যকর ভূমিকা নিতে পারেনি। হামলার পর কার্যালয়ের সামনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে থাকতে দেখা যায় ছেঁড়া পতাকা ও ফ্লেক্স। এই ঘটনার প্রতিবাদে সোশাল মিডিয়ায় সরব হয় তৃণমূল কংগ্রেস (TMC)।
এক্স হ্যান্ডেলে তৃণমূলের তরফে লেখা হয়, “সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেসের ত্রিপুরা কার্যালয়ে বিজেপি-সমর্থিত দুষ্কৃতীদের নৃশংস হামলা কোনও বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। এটা গণতন্ত্রের উপর সরাসরি আঘাত।” দলীয় বিবৃতিতে আরও বলা হয়, “ক্ষমতাসীনরা যখন তাঁদের বিরোধীদের স্তব্ধ করতে হিংসাকে হাতিয়ার করছে, তখন তারা শক্তি নয়, নিজেদের ভয় ও নৈতিক দেউলিয়াকেই প্রকাশ করছে।”
তৃণমূলের তরফে বিজেপিকে (BJP) আক্রমণ করে বলা হয়, “বিজেপি মুখে বলে ‘গণতন্ত্র বাঁচাও’, অথচ একের পর এক রাজ্যে তার ভিত্তিটাকেই জ্বালিয়ে দিচ্ছে। তাঁরা অফিস ভাঙতে পারে, পোস্টার ছিঁড়ে ফেলতে পারে, কর্মীদের ভয় দেখাতে পারে। কিন্তু তারা কখনও মুছে দিতে পারবে না সেই প্রতিরোধের চেতনা, যা প্রতিটি তৃণমূল কর্মীর রন্ধ্রে রন্ধ্রে বইছে।”
The violent attack on @AITC4Tripura‘s office by BJP-backed goons is not an isolated act of aggression, it is an open assault on democracy. When those in power unleash violence to silence their opponents, they expose not strength, but fear and moral bankruptcy.
The BJP talks… pic.twitter.com/VPu78iHr8V
— All India Trinamool Congress (@AITCofficial) October 7, 2025
তৃণমূল কংগ্রেস স্পষ্ট করে দিয়েছে, তারা এই হামলার প্রতিবাদে চুপ করে থাকবে না। দলীয় কর্মীরা পিছিয়ে যাবে না, বরং গণতন্ত্র রক্ষায় আরও দৃঢ়ভাবে এগিয়ে আসবে। আগরতলার এই ঘটনা ত্রিপুরার রাজনৈতিক পরিস্থিতিকে আরও উত্তপ্ত করে তুলেছে। এখন দেখার, প্রশাসন ও রাজনৈতিক মহল কী পদক্ষেপ নেয় এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে।