TMC office attack : বুধবার ত্রিপুরায় যাচ্ছে তৃণমূলের পাঁচ সদস্যের প্রতিনিধি দল

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি, ২৩:৪১: জলপাইগুড়ির নাগরাকাটায় বিজেপির সাংসদ খগেন মুর্মু ও বিধায়ক শঙ্কর ঘোষের ওপর জনরোষ আছড়ে পড়ার একদিন পরেই সেই আঁচ গিয়ে পড়ল ত্রিপুরায়। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় আগরতলায় তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য দপ্তরে ব্যাপক ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে, যা ঘিরে উত্তেজনা ছড়ায় ত্রিপুরার রাজধানী জুড়ে। তৃণমূলের অভিযোগ, পুলিশের উপস্থিতিতেই বিজেপির দুষ্কৃতীরা তাদের কার্যালয়ে হামলা চালায়।
ঘটনার পরেই এক্স হ্যান্ডেলে ক্ষোভ উগরে দেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি দাবি করেন, পুলিশের নাকের ডগায় বিজেপি-ঘনিষ্ঠ দুষ্কৃতীরা তৃণমূলের দপ্তরে হামলা চালিয়েছে, অথচ পুলিশ নির্বিকার থেকেছে। তাঁর কথায়, এটি নিছক ভাঙচুর নয়, গণতন্ত্রে বিরোধী কণ্ঠরোধের চেষ্টা।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার সন্ধ্যার দিকে আগরতলার তৃণমূল কার্যালয়ের বাইরে বিজেপির শতাধিক কর্মী-সমর্থক জড়ো হয়ে নাগরাকাটা-কাণ্ডের প্রতিবাদ জানাতে শুরু করেন। বিক্ষোভ দ্রুতই হিংসাত্মক রূপ নেয়। কিছু কর্মী লাঠি, বাঁশ ও লোহার রড হাতে নিয়ে তৃণমূল দপ্তরের দরজা-জানালা ভাঙচুর করে। ভেঙে ফেলা হয় কাঁচের দরজা, ছিঁড়ে ফেলা হয় দলের পতাকা ও ফ্লেক্স।
এই ঘটনার পর বুধবারই ত্রিপুরায় যাচ্ছে তৃণমূলের পাঁচ সদস্যের প্রতিনিধি দল। দলে থাকছেন রাজ্যের মন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদা, সাংসদ সায়নী ঘোষ ও প্রতিমা মণ্ডল, তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ, রাজ্যসভার সাংসদ সুস্মিতা দেব এবং মুখপাত্র ও ছাত্র নেতা সুদীপ রাহা। তাঁরা আগরতলায় দলীয় দপ্তরে গিয়ে ক্ষয়ক্ষতি পরিদর্শন করবেন এবং স্থানীয় কর্মীদের সঙ্গে বৈঠক করবেন।
ত্রিপুরায় তৃণমূলের এই দপ্তর-আক্রমণের ঘটনায় রাজনৈতিক পারদ আরও চড়েছে। তৃণমূলের দাবি, বিজেপি প্রশাসনিক ক্ষমতা ব্যবহার করে বিরোধীদের কণ্ঠরোধ করতে চাইছে। অন্যদিকে, বিজেপির দাবি, এই অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।