সত্তরোর্ধ্বদের সক্রিয়তা খতিয়ে দেখছে তৃণমূল, স্ক্যানারে ১৬ মন্ত্রী-সহ ৫৭ বিধায়ক

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি, ১৪:৪৩: ২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনের আগে প্রার্থী বাছাইয়ের প্রস্তুতিতে নেমেছে তৃণমূল। এবার নজর থাকছে বয়স ও সক্রিয়তার দিকে। দলের অভ্যন্তরীণ সূত্রে খবর, সত্তরের গণ্ডি পেরোনো বিধায়কদের নিয়ে বিস্তারিত সমীক্ষা শুরু করেছে তৃণমূল কংগ্রেস (TMC)। এই তালিকায় রয়েছেন মোট ৫৭ জন বিধায়ক, তাঁদের মধ্যে ১৬ জন মন্ত্রীও রয়েছেন।
দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, রাজনীতি মানেই মানুষের সেবা, দিন-রাত পরিশ্রম করে মাঠে কাজ করা। সেই কাজে শারীরিকভাবে সুস্থ ও সক্রিয় থাকা অপরিহার্য। তাই ৭০ বছর বা তার বেশি বয়সি বিধায়কদের মধ্যে কারা এখনও রাজনীতির ময়দানে মানুষের সঙ্গে সংযোগ রাখছেন, সেটিই এখন মূল মূল্যায়নের বিষয়।
বর্তমানে তৃণমূলের বিধায়ক (MLA) সংখ্যা ২২০। পাশাপাশি অন্য দল থেকে যোগ দেওয়া আরও ৬ জন বিধায়ক আছেন। দলীয় সমীক্ষা অনুযায়ী, যাঁদের বয়স ইতিমধ্যেই ৭০ ছুঁয়েছে বা ২০২৬ সালের ১ জানুয়ারির মধ্যে ৭০ হবে, এমন বিধায়ক রয়েছেন ৫৭ জন। তাঁদের মধ্যে ছ’জন মহিলা বিধায়ক এবং চারজন চিকিৎসক বিধায়কও আছেন।
জেলা-ভিত্তিক তথ্য বলছে, দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলায় সত্তরোর্ধ্ব বিধায়কের সংখ্যা সর্বাধিক- ১১ জন। এরপর রয়েছে উত্তর ২৪ পরগনা (৬ জন), পূর্ব বর্ধমান (৫ জন), নদীয়া (৫ জন) এবং পশ্চিম মেদিনীপুর (৪ জন)।
দলের এক শীর্ষ নেতার কথায়, “আগামী নির্বাচনে প্রার্থী বাছাই হবে একাধিক মানদণ্ডে – বয়স, সক্রিয়তা, জনপ্রিয়তা এবং কাজের রিপোর্ট, সব কিছুই বিবেচনায় থাকবে।”
এখন দেখার, এই ৫৭ জন সত্তরোর্ধ্ব বিধায়কের মধ্যে ২০২৬ সালের নির্বাচনে কারা আবারও টিকিট পাবেন, আর কারা এবার বিশ্রামে যাবেন।