গিলের উত্থানে ৩৫-এর সুর্যকুমারের খোলা স্বীকারোক্তি,‘ভয় সবাই পায়, আমিও

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি, ১১:৫৫: ভারতের টি-২০ অধিনায়ক সূর্য কুমার যাদব খোলাখুলি স্বীকার করে নিয়েছেন—ভবিষ্যৎ নিয়ে ভয় তাঁকেও স্পর্শ করে। বিশেষ করে যখন শুভমন গিল একের পর এক দায়িত্ব নিচ্ছেন ওয়ানডে ও টেস্টে অধিনায়কত্বের সঙ্গে সঙ্গে টি-২০ তে সহ-অধিনায়কের দায়িত্বও পেয়েছেন। ৩৫ বছরের সুর্যকুমার জানালেন, এই ভয় কোনও নেতিবাচক কিছু নয়, বরং তাঁকে আরও ভালো করার প্রেরণা দেয়। একই সঙ্গে তিনি গর্বিত গিলের সাফল্যে।
গত বছর রোহিত শর্মার অধিনায়কত্বে ১১ বছর পর আইসিসি শিরোপা জিতেছিল ভারত। এরপর সাদা বলের ক্রিকেটে আরও ভয়ংকর হয়ে উঠেছে সুর্যকুমারের ভারত। হার্ডহিটার ব্যাটার, মারকাটারি স্পিন আক্রমণ, তীব্র গতির পেস এবং দারুণ অলরাউন্ডার—সব মিলিয়ে দলটা এখন একেবারে আগুনে। ২০২৫ সালের এশিয়া কাপেও তাঁর নেতৃত্বে ভারত চ্যাম্পিয়ন হয়েছে।
সুর্যকুমার বললেন, “ওর জন্য আমি খুশি। দুই ফরম্যাটে অধিনায়ক হওয়া ওর প্রাপ্য। দারুণ পারফর্ম করছে ও। ভয় তো সবাই পায়। তবে এই ভয়ই তো অনুপ্রেরণা। মাঠে এবং মাঠের বাইরে আমাদের সম্পর্ক দারুণ। ওর চরিত্র আমি জানি, ও কেমন মানুষ জানি। তাই ওর সাফল্য আমাকে কেবল আরও অনুপ্রাণিত করে।”
৩১ বছর বয়সে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক হয়েছিল সুর্যকুমারের। আহমেদাবাদে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে প্রথম ম্যাচে ব্যাট করার সুযোগ পাননি। কিন্তু দ্বিতীয় ম্যাচেই যেন বাজিমাত। মাত্র ৩১ বলে ৫৭ রানের ঝড়ো ইনিংসে ম্যাচসেরা হন তিনি। প্রথম বলেই ছক্কা—সেই স্মৃতি আজও অমলিন। সেই প্রসঙ্গেই তিনি বলেন, “যদি ভয়কে নিজের ওপর হাওলা নিতে দিতাম, সেই ছক্কা হয়তো কখনও আসত না। অনেক আগেই ভয় পেছনে ফেলে এসেছি আমি। এখন কেবল নিজের ওপর কঠোর পরিশ্রমে বিশ্বাস রাখি। বাকিটা সময়ই করে দেবে।”
অন্যদিকে, শুভমন গিলের উত্থান রীতিমতো ধূমকেতুর মতো। ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে পাঁচ ম্যাচের টেস্ট সিরিজে ২-২ ড্র এনে নিজের অধিনায়কত্বের প্রথম পরীক্ষাতেই সাফল্য পেয়েছেন তিনি। পরে ওয়ানডে দলেও অধিনায়ক হলেন, রোহিত থাকলেন দলের সিনিয়র পিলার হিসেবে। সুর্যকুমার নেতৃত্ব নিচ্ছেন টি-২০ তে, ২০২৪ বিশ্বকাপের পর থেকে।
সুর্যকুমার বনাম গিল—এটা কোনও প্রতিদ্বন্দ্বিতা নয়, বরং ভারতীয় ক্রিকেটের জন্য শক্তিশালী নেতৃত্বের যুগলবন্দি। একজনের ভয় অন্যজনের সাফল্যে রূপ নিচ্ছে আর তাতেই নতুন উচ্চতায় উঠছে ভারতীয় দল। এই দুই ক্রিকেটারের বোঝাপড়া ও পারস্পরিক শ্রদ্ধাই হতে পারে ভারতের পরবর্তী সাফল্যের সবচেয়ে বড় ভিত্তি।