ভুবনেশ্বরে ভিন রাজ্যের কিশোরীকে ধর্ষণ, ডবল ইঞ্জিন ওড়িশা কি ধর্ষকদের মুক্তাঞ্চল?

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি ১০.৪৫: বিজেপিশাসিত ওড়িশায় নারী নির্যাতনের ঘটনায় কিছুতেই লাগাম টানা যাচ্ছে না। একের পর এক নারী নির্যাতনের ঘটনা ঘটছে সে রাজ্যে। বিজেপির ওড়িশা কি ধর্ষকদের মুক্তাঞ্চলে পরিণত হচ্ছে? সম্প্রতি ওড়িশায় ভিন রাজ্যের কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগ সামনে এসেছে। নির্যাতিতা নিজে হাসপাতালে পৌঁছয় বলে জানা গিয়েছে। তার দেহের ক্ষত দেখে চিকিৎসকদের অনুমান, কিশোরীকে ধর্ষণ করা হয়েছে। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।
জানা গিয়েছে, শুক্রবার রাতে ওড়িশার রাজধানী ভুবনেশ্বরের রাস্তায় অজ্ঞান হয়ে পড়েছিলেন কিশোরী। জ্ঞান ফিরলে তিনি নিজেই কোনওরকমে হাসপাতালে যান। স্বতঃপ্রণোদিত মামলা দায়ের করে তদন্ত শুরু হয়েছে। এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। ১৬ অক্টোবর রাত থেকে রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে নির্যাতিতার চিকিৎসা চলছে। কিশোরী ঝাড়খণ্ডের বাসিন্দা। এখনও পর্যন্ত এই অপরাধে জড়িত সন্দেহে দু’জন মহিলাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। নির্যাতিতার পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করতে ঝাড়খণ্ড সরকারের সঙ্গে ইতিমধ্যে কথা বলছে ওড়িশা পুলিশ।
উল্লেখ্য, বিগত কয়েক মাস ধরে লাগাতার ধর্ষণের ঘটনা ঘটছে ওড়িশায়। ওড়িশার ময়ূরভঞ্জ জেলায় ২২ বছরের এক তরুণী গণধর্ষণের স্বীকার হন গত আগস্টে।
অভিযোগ, পরিচিত দুই ব্যক্তি ওই তরুণীকে একটি চাকরির প্রস্তাব দেয়। বাংরিপোসি এলাকা থেকে গাড়িতে তুলে নিয়ে যায়। এরপর ওই দুই ব্যক্তির সঙ্গে আরও তিনজন যোগ দেয়। গাড়িতে করে ওই মহিলাকে বাড়ি থেকে ৮০ কিলোমিটার দূরে উদালা ও বালাসোর শহরের মাঝে একটি নির্জন স্থানে নিয়ে যায় অভিযুক্তরা। সেখানেই তাঁকে ধর্ষণ করা হয়। আরও জানা গিয়েছে, ধর্ষণের পরে নির্যাতিতাকে রাস্তায় ফেলে রেখে পালিয়ে যায় পাঁচ অভিযুক্ত।
ওড়িশার বালেশ্বরে কিছুদিন আগেই অপহরণ করে টানা ছ’মাস ধরে এক তরুণীকে গণধর্ষণের অভিযোগ ওঠে একদল যুবকের বিরুদ্ধে। গত ফেব্রুয়ারি মাসে ওই নির্যাতিতাকে বাড়ির সামনে থেকে অপহরণ করে একদল যুবক ময়ূরভঞ্জ জেলার বারিপাদা এলাকায় নিয়ে যায়। সেখানেই তাঁকে টানা ছ’মাস রাখা হয়। অভিযোগ, সেই সময় একাধিক যুবক তাঁকে লাগাতার ধর্ষণ করে। জুলাই মাসে সম্বলপুর জেলায় গণধর্ষণের শিকার হন এক নাবালিকা। ওড়িশায় ঢেঙ্কানল জেলার কামাখ্যানগর থানা এলাকার মাথাকারগোলা আশ্রমে ধর্ষণের শিকার হন এক আবাসিক মহিলা।
বার বার মহিলাদের ওপর অপরাধের ঘটনায় সংবাদ শিরোনামে উঠে এসেছে ওড়িশা। জুন-জুলাইয়ের মধ্যে সে রাজ্যে অগ্নি দগ্ধ হয়ে তিনজন মহিলার মৃত্যু হয়। প্রথমে ওড়িশার বালেশ্বরে কলেজের এক বিভাগীয় প্রধানের বিরুদ্ধে হেনস্থার অভিযোগ তুলে ক্যাম্পাসেই নিজের গায়ে আগুন ধরিয়ে দেন এক ছাত্রী। ৯৫ শতাংশ দগ্ধ অবস্থায় ভুবনেশ্বর এইমসে তাঁর মৃত্যু হয়। তারপর পুরীতে এক কিশোরীও অগ্নিদগ্ধ হয়ে মারা যায়। অভিযোগ, এক দল দুষ্কৃতী তাঁর গায়ে আগুন ধরিয়ে দিয়েছিল। দিল্লি এইমসে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ওই কিশোরীর মৃত্যু হয়। কেন্দ্রপড়ায় বাড়িতে অগ্নিদগ্ধ হয়ে রহস্যজনকভাবে মৃত্যু হয় এক তরুণীর।