কাশ্মীরি পণ্ডিতদের দুর্দশাকে রাজনৈতিক স্বার্থে ব্যবহার করছে বিজেপি, বিস্ফোরক পদ্ম নেতাই!

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি, ১৮:০০: কাশ্মীরি পণ্ডিতদের দুর্দশাকে রাজনৈতিক স্বার্থে ব্যবহার করার অভিযোগে আবারও বিদ্ধ বিজেপি। এবার ক্ষোভ উগরে দিলেন দলেরই নেতা জাহানজেব সিরওয়াল (Jahanzaib Sirwal)। রবিবার তিনি প্রকাশ্যে অভিযোগ করেন, বিজেপি বছরের পর বছর ধরে কাশ্মীরি পণ্ডিতদের যন্ত্রণা ও বাস্তুচ্যুতি নিয়ে রাজনীতি করেছে, কিন্তু তাদের প্রতি ন্যূনতম ন্যায়বিচার করার কোনও আন্তরিক উদ্যোগ নেয়নি।
সিরওয়ালের অভিযোগ, “এই সম্প্রদায় বছরের পর বছর ধরে বিজেপির প্রতি অটল সমর্থন দেখিয়েছে। তাঁরা নিঃস্বার্থ, অবিচল এবং স্বীকৃতিহীন কর্মী হিসেবে দলকে শক্তি দিয়েছে। অথচ আজও তাদের কষ্ট শুধু বক্তৃতা ও সংসদীয় বিতর্কের উপকরণ হয়ে রয়েছে।” তাঁর দাবি, বিজেপি নেতৃত্ব সংসদে ৫০০ বারেরও বেশি কাশ্মীরি পণ্ডিতদের বিষয়টি উল্লেখ করেছে, কিন্তু প্রতিবারই তা রাজনৈতিক ফায়দা তোলার হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে।
২০১৯ সালের নির্বাচনের পর থেকেই বিজেপি কাশ্মীরি পণ্ডিতদের পুনর্বাসনের প্রতিশ্রুতি দিয়ে এসেছে, কিন্তু বাস্তবে সেই প্রতিশ্রুতি কতটা পূরণ হয়েছে, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন সিরওয়াল। তিনি বলেন, “এই সম্প্রদায়ের ন্যায়বিচার আজও অধরা। শুধু প্রতীকী ঘোষণা বা শোকপ্রকাশে কাজ হবে না। এখন সময় এসেছে সত্যিকার অর্থে তাঁদের জন্য কিছু করার এবং তাঁদের অধিকার ফিরিয়ে দেওয়ার, তাঁদের নিরাপদে নিজভূমিতে ফিরিয়ে আনার।”
প্রসঙ্গত, গত ৩রা অক্টোবরও তিনি দলের বিরুদ্ধে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন। উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের মুসলিম-বিরোধী মন্তব্য ও সেই রাজ্যের পুলিশের প্রতিহিংসাপরায়ণ আচরণের নিন্দা জানিয়ে তিনি হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন, যদি দলের অবস্থান না বদলায়, তিনি পদত্যাগ করবেন।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, জাহানজেব সিরওয়ালের এই বক্তব্য বিজেপির জন্য বড় ধাক্কা। কারণ, দলের ভেতর থেকেই এখন প্রশ্ন উঠছে, বিজেপি কি কেবল কাশ্মীরি পণ্ডিতদের নাম ব্যবহার করে সহানুভূতির রাজনীতি করছে? বাস্তব উন্নয়ন, পুনর্বাসন ও নিরাপত্তা কি শুধু নির্বাচনের আগে প্রতিশ্রুতির ফোল্ডারে সীমাবদ্ধ থেকে যাচ্ছে?