ভাইফোঁটার দুপুরে মমতার বাড়িতে রংমিলান্তি পোশাকে শোভন-বৈশাখী
![]()
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি, ২১:৪২: বৃহস্পতিবার ভাইফোঁটার দিন দুপুরে কালীঘাটে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়িতে দেখা গেল কলকাতার প্রাক্তন মেয়র তথা সদ্য দায়িত্বপ্রাপ্ত এনকেডিএ চেয়ারম্যান শোভন চট্টোপাধ্যায় এবং তাঁর সঙ্গিনী বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়কে। রংমিলান্তি পোশাকে এদিন কালীঘাটে গেলেন তাঁরা। দু’জনেরই পরনে ছিল সাদা পোশাক। এদিন ঘণ্টা দেড়েক মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে ছিলেন তাঁরা। ফোঁটা নেওয়ার পাশাপাশি চলল আড্ডা। বেরিয়ে শোভন বললেন, “মন ভরে আশীর্বাদ করেছেন দিদি।”
শোভনের গলায় অনুরাগ আর শ্রদ্ধা মিলেমিশে একাকার, “প্রতিবছরই দিদির কাছে আসি, দিদির আশীর্বাদ নিই। আজও দিদি মন ভরে আশীর্বাদ করেছেন, সেটাই আমার সবচেয়ে বড় পাওয়া। দিদি আমার অভিভাবক।”
সঙ্গে যোগ করলেন, “১৯৮৫ সালে কাউন্সিলর হিসেবে রাজনীতিতে আসা থেকে আজ ২০২৫ সালে এনকেডিএ-র চেয়ারম্যান হওয়া— সবটাই দিদির চিন্তা ও ভাবনা থেকে এসেছে। যখনই দায়িত্ব পেয়েছি, সেটা নিষ্ঠার সঙ্গে পালন করেছি। এবারও করব।” বৈশাখীর কণ্ঠেও ফুটে উঠল উষ্ণতা, “প্রতি বছর এই দিনটার অপেক্ষায় থাকি। দিদি যেমন ভাইদের ফোঁটা দেন, তেমনই বাড়ির বউদেরও ফোঁটা দেন। এটা শুধু একটা রীতি নয়, সম্পর্কের বন্ধন।”
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে শোভন চট্টোপাধ্যায়ের সম্পর্ক বরাবরই সুমধুর। প্রতি ভাইফোঁটায় দলনেত্রীর কালীঘাটের বাড়িতে গিয়ে ফোঁটা নেন তিনি। তবে মাঝে খানিকটা দূরত্ব বেড়েছিল তাঁদের। বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন শোভন। যদিও খুব অল্প সময়েই মোহভঙ্গ হয় মুখ্যমন্ত্রীর প্রিয় কাননের। তারপর দীর্ঘদিন তিনি সক্রিয় রাজনীতি থেকে দূরে। তবে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে সম্পর্কের অনেকটাই উন্নতি হয়েছে।