সুপার কাপে নতুন লড়াইয়ের প্রস্তুতিতে কলকাতার দুই প্রধান, ট্রফি জিততে মরিয়া ইস্ট-মোহন

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: ১৬:৫৩: গোয়ার মাঠে আবারও মুখোমুখি হতে চলেছে ভারতের দুই ঐতিহ্যবাহী ক্লাব— ইস্টবেঙ্গল এবং মোহনবাগান। শনিবার থেকেই শুরু হচ্ছে মরসুমের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ প্রতিযোগিতা সুপার কাপ। প্রথম দিনেই খেলতে নামছে কলকাতার দুই প্রধান দল। ইস্টবেঙ্গলের প্রতিপক্ষ ডেম্পো, আর মোহনবাগানের সামনে চ্যালেঞ্জ চেন্নাইয়িন এফসি। এই টুর্নামেন্ট জিতলেই মিলবে এএফসি চ্যাম্পিয়ন্স লিগ টু-তে খেলার সুযোগ, তাই দুই দলের লক্ষ্য একটাই— ট্রফি জেতা।
মোহনবাগান কোচ হোসে মোলিনা আইএফএ শিল্ড জয়ের পর দলের আত্মবিশ্বাসে ভর করে এগোচ্ছেন। তবে তিনি বাস্তববাদীও। মোলিনার কথায়, “ডুরান্ডে আমরা সফল হইনি, কিন্তু শিল্ড জয়ে দল অনেকটা আত্মবিশ্বাস ফিরে পেয়েছে। এখনও কয়েকটি জায়গায় উন্নতি দরকার।” তাঁর মতে, ফুটবলের উন্নতি আলাদা বিভাগে নয়, পুরো দলের ভারসাম্যেই লুকিয়ে। “আমাদের লক্ষ্য গোটা দলের পারফরম্যান্সের উন্নতি। ডিফেন্স থেকে ফরোয়ার্ড— সবার মধ্যে বোঝাপড়া আরও শক্ত করতে হবে,” বললেন মোলিনা।
দলে বড় কোনও চোট নেই, তাই সম্পূর্ণ শক্তির দল নামাতে প্রস্তুত সবুজ-মেরুন শিবির। এখনও পর্যন্ত মোহনবাগান সুপার কাপ জিততে পারেনি। মোলিনা জানিয়ে দিয়েছেন, এ বার সেই খরা কাটানোই লক্ষ্য। অনিরুদ্ধ থাপাও বলেন, “আমরা সব সময় চ্যাম্পিয়ন হওয়ার মানসিকতা নিয়েই নামি। প্রতিটি ম্যাচে লক্ষ্য থাকে দলের জয়।”
অন্যদিকে, লাল-হলুদ শিবিরেও আত্মবিশ্বাস টগবগ করছে। ইস্টবেঙ্গল কোচ অস্কার ব্রুজ়ো বলেন, “সুপার কাপ শুধু মর্যাদার নয়, এএফসি-তে ওঠার সুযোগও তৈরি করে। তাই প্রতিটি ম্যাচ আমাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ। কোনও দলকেই হালকাভাবে নেওয়া যাবে না।” নতুন ফুটবলারদের মানিয়ে নেওয়ার প্রসঙ্গে ব্রুজ়োর মন্তব্য, “নতুনরা অভ্যস্ত হয়ে উঠছে, আর আমরা সামগ্রিকভাবে ভালো খেলছি। আরও উন্নতি হবে।”
দলের অন্যতম ভরসা সৌভিক চক্রবর্তী ও আশাবাদী। তাঁর কথায়, “নতুনরা অভিজ্ঞ এবং মানিয়ে নিতে কোনও সমস্যা হচ্ছে না। আমরা সবাই জয়ের জন্য তৈরি।”
ছয় বিদেশি-সহ পূর্ণ শক্তির দল নিয়ে নামবে ইস্টবেঙ্গল। গোয়ার মাঠ ব্রুজ়োর কাছে পরিচিত এলাকা হলেও তিনি জানিয়েছেন, “পেশাদার ফুটবলে আবেগের জায়গা নেই। আমি এখন শুধুই ইস্টবেঙ্গলের কোচ। লক্ষ্য একটাই— দলের সাফল্য।”
সব মিলিয়ে, গোয়ার সবুজ ঘাসে আবারও জ্বলে উঠতে চলেছে কলকাতার চিরন্তন ফুটবল প্রতিদ্বন্দ্বিতা। এবার লাল-হলুদ না সবুজ-মেরুন— কে ছিনিয়ে নেয় সুপার কাপের মুকুট, সেই দিকেই তাকিয়ে দেশের ফুটবলপ্রেমীরা।