পুষ্পসজ্জায় মহাসমারোহে সম্পন্ন হল নৈহাটির বড়মার প্রতিমা নিরঞ্জন

October 24, 2025 | 2 min read
Published by: Saikat

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: ২০:২৩: এবছরের বড়মার প্রতিমা (Boro Maa) বিসর্জন পর্ব হয়ে উঠল স্মরণীয়। ‘ভক্তের ভক্তিই সব’, এই বার্তা নিয়েই বলির জন্য রাখা ১১টি পায়রাকে মুক্ত করে দিল নৈহাটির (Naihati) বড়কালী পুজো সমিতি। শুক্রবার সকাল থেকে শুরু হওয়া বিসর্জনের পুজো শেষ হয় বিকেলে গঙ্গায় বড়মার রাজবেশে নিরঞ্জনের মাধ্যমে।

সকাল সাতটা থেকেই রীতি মেনে শুরু হয় বিসর্জনের পর্ব। তার আগে থেকেই নৈহাটির অরবিন্দ রোডে ছিল কড়া নিরাপত্তা। হাজারের বেশি পুলিশ, বম্ব স্কোয়াড, তিনশোরও বেশি স্বেচ্ছাসেবক এবং ড্রোন নজরদারির মাধ্যমে ভিড় নিয়ন্ত্রণে রাখা হয়। ফেরিঘাটে সাময়িকভাবে বন্ধ রাখা হয় ফেরি চলাচল। এত কড়াকড়ির মধ্যেও নির্বিঘ্নে সম্পন্ন হয় বিসর্জন।

দীর্ঘদেহী, ঘন কৃষ্ণবর্ণের বড়মাকে শেষবারের মতো দর্শন করতে হাজার হাজার ভক্ত ভিড় করেন মন্দির ও শোভাযাত্রায়। প্রথমে দধিকর্মা বিলি হয়, তারপর দুপুর আড়াইটে নাগাদ দেবীর সোনা-রূপোর গয়না খুলে শুরু হয় পুষ্পসজ্জা। অরবিন্দ রোড থেকে নৈহাটি স্টেশন পর্যন্ত রাস্তায় তখন তিল ধারণের জায়গা ছিল না। উপস্থিত ছিলেন বারাকপুরের পুলিশ কমিশনার মুরলিধর শর্মা, ডিসি (নর্থ) গণেশ বিশ্বাস, পুজো সমিতির সম্পাদক তাপস ভট্টাচার্য এবং নৈহাটি পুরসভার চেয়ারম্যান অশোক চট্টোপাধ্যায়।

দুপুর সাড়ে তিনটায় দেবীকে বরণ করেন পুজো সমিতির সম্পাদক। এরপর গঙ্গার দিকে যাত্রা শুরু হয়। বিকেল ৪টে ২০ মিনিটে বড়মার দড়িতে প্রথম টান পড়ে। রাস্তার দু’পাশে ও বাড়ির ছাদে দাঁড়িয়ে থাকা ভক্তরা তখন পুষ্পবৃষ্টি ও বাতাসা ছড়িয়ে বিদায় জানান দেবীকে। ‘জয় বড়মা’ ও ‘ধর্ম যার যার, বড়মা সবার’ ধ্বনিতে মুখরিত হয় গোটা এলাকা।

বিসর্জনের আগে নৈহাটির বড়মা ফেরিঘাট থেকে বলির জন্য রাখা ১১টি পায়রাকে মুক্ত করে দেওয়া হয়। বড়কালী পুজো সমিতির তরফে জানানো হয়েছে, পুজোর আগের দিন বলির জন্য যে জোড়া পাঁঠা রাখা হয়েছিল, সেটিও ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। নিরঞ্জনের দিন পায়রাদের মুক্ত করাও সেই মানবিক উদ্যোগেরই অংশ। সমিতির পক্ষ থেকে আরও জানানো হয়, এবছরের পুজোয় নিরঞ্জনের দিন পর্যন্ত লক্ষাধিক ভক্ত দণ্ডি কেটেছেন এবং প্রতিদিন গড়ে চার লক্ষের বেশি মানুষের সমাগম হয়েছে।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

ভিডিও

আরও পড়ুন

Decorative Ring
Maa Ashchen