ডবল ইঞ্জিন দিল্লিতে অত্যাচার, রাজধানী ছাড়ার হুমকি! বাংলায় ফিরে হৃদরোগ আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু পরিযায়ী শ্রমিকের

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি, ১৪.২০: অপরাধ বাংলায় কথা বলা! তাই জুটল বাংলাদেশি তকমা। অভিযোগ, বাংলা ভাষায় কথা বলায় একই পরিবারের সদস্য তিন পরিযায়ী শ্রমিককে রাজধানী থেকে তাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। প্রাণভয়ে দিল্লি থেকে পালিয়ে মুর্শিদাবাদের বাড়িতে ফিরে এসেছিলেন স্বামী-স্ত্রী ও একমাত্র পুত্র সন্তান। তারপরই হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হল জনৈক সন্তোষ দাসের। তাঁর পরিবারের অভিযোগ, ৫৫ বছরের সন্তোষ দাস দিল্লি থেকে তাড়া খাওয়ার পর থেকে আতঙ্কে আতঙ্কে দিন কাটাতেন।
মৃত সন্তোষ দাসের পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছে বহরমপুর পুরসভা। আর্থিক সাহায্যও করা হয়েছে। বহরমপুরের দয়ানগরের শিবনগর রোড থাকেন দাস পরিবার। দিল্লিতে গত প্রায় ১৫-২০ বছর ধরে রঙের মিস্ত্রি হিসেবে কাজ করতেন সন্তোষ।
সন্তোষ দাসের স্ত্রী পাতা দাস দিল্লিতে পরিচারিকার কাজ করতেন। তাঁর ছেলে মিঠুন হাউসকিপিংয়ের কাজে যুক্ত ছিলেন। স্ত্রী ও সন্তানকে নিয়ে দিল্লির যমুনা বিহার এলাকায় বাড়ি ভাড়া নিয়ে থাকতেন সন্তোষ। অভিযোগ, গত আড়াই মাস আগে সন্তোষ দাসকে ভয় দেখায় স্থানীয় পুলিশ। তাঁদের এলাকা ছাড়তে বলা হয়। ভয়ে স্ত্রী ও সন্তানকে নিয়ে বহরমপুরের বাড়ি চলে আসেন সন্তোষ দাস। ১০ দিন আগে হঠাৎ করে বুকে ব্যথা অনুভব করেন তিনি। মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাঁকে। এরপরই তিনি মারা যান। স্ত্রী ও পুত্রের দাবি, ফিরে আসার পর থেকেই মন মরা হয়ে থাকতেন তিনি। দুশ্চিন্তা করতেন। এরপরেই এই অঘটন। স্ত্রী পাতা দাসের দাবি, “বৈধ কাগজপত্র থাকা সত্ত্বেও বাংলাদেশি তকমা দেওয়া হয়েছে। স্বামী চলে যাওয়ায় সব কিছু শেষ হয়ে গেল। তবে বহরমপুর পুরসভার চেয়ারম্যান পাশে দাঁড়িয়েছে।”
উল্লেখ্য, বিগত বেশ কয়েক মাস ধরে একের পর এক বিজেপিশাসিত রাজ্যগুলিতে বাংলার পরিযায়ী শ্রমিকদের উপর নির্যাতনের অভিযোগ সামনে এসেছে। বাংলায় কথা বলার জন্য দিল্লি, হরিয়ানা, গুজরাত, উত্তরপ্রদেশ সহ একাধিক রাজ্যে বাংলার শ্রমিকদের নির্যাতন করা হয়েছে বলে অভিযোগ। বাংলাদেশে পুশব্যাক করা হয়েছে বলেও অভিযোগ। এমনকি অনেকেই রহস্যজনকভাবে খুন হয়েছেন।