বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারই! JDU-র ট্যুইট ডিলিটে বাড়ছে জল্পনা

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি, ১৯:০০: শেষ পর্যায়ে চলছে বিহারে ভোট গণনা। বিহার বিধানসভা নির্বাচনে এনডিএ (NDA) জোট কার্যত নিশ্চিত জয়ের পথে। ম্যাজিক ফিগার ছাপিয়ে বহুদূর এগিয়ে গিয়েছে বিজেপি-জেডিইউ জোট। মহাগঠবন্ধন (Mahagathbandhan) কার্যত ধারে কাছে নেই। ফলাফল স্পষ্ট হতেই শুরু হয়েছে সবচেয়ে বড় প্রশ্ন-কে হবেন বিহারের আগামী মুখ্যমন্ত্রী?
এখনও পর্যন্ত পাওয়া খবর অনুযায়ী, বিজেপি (BJP) এগিয়ে রয়েছে ৯২টি আসনে, জেডিইউ (JDU) এগিয়ে ৮৩টি আসনে, লোক জনশক্তি পার্টি (LGP) ২৯টি আসনে লড়াই করে ১৯টিতে এগিয়ে, হিন্দুস্তানি আওয়াম মোর্চা (হাম) এগিয়ে ৫টি আসনে।
সব মিলিয়ে এনডিএর ভরসা আরও শক্তিশালী হয়েছে ছোট শরিকদের সাফল্যে। ফলে সরকার গঠনের পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রী নির্বাচনে এলজেপি ও হামের মতামতও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠতে পারে।
জেডিইউ-র অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে একটি টুইট প্রকাশিত হয়, যেখানে দাবি করা হয়- “বিহারের মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে নীতীশ ছিলেন এবং আগামিদিনেও থাকবেন।” কিন্তু কিছুক্ষণের মধ্যেই সেই টুইট ডিলিট করে দেওয়া হয়। কেন এই পদক্ষেপ? রাজনৈতিক মহলে শুরু হয়েছে তীব্র জল্পনা। অনেকেই মনে করছেন, এনডিএর (NDA) শরিকদের চাপ এবং বিজেপির অভ্যন্তরীণ কৌশলই এর পেছনে কারণ হতে পারে।
এই বিতর্কের মধ্যেই নীতীশ কুমারের বাড়িতে পৌঁছেছেন বিহারের ডেপুটি মুখ্যমন্ত্রী তথা বিজেপি প্রার্থী সম্রাট চৌধুরি (Samrat Choudhary)। জানা যাচ্ছে, সেখানে একটি বৈঠক শুরু হয়েছে। আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু-আগামী বিহার সরকারের মুখ কে হবেন? নাকি এনডিএ নেতৃত্ব নীতীশের উপরই আস্থা রাখবে?
বিহার নির্বাচনে এনডিএর জয় নিশ্চিত হলেও মুখ্যমন্ত্রী পদ নিয়ে অনিশ্চয়তা কাটছে না। নীতীশ কুমারকে সামনে রেখেই লড়াই হলেও, শরিকদের শক্তিশালী ফলাফল এবং বিজেপির কৌশল মিলিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে আসতে সময় লাগছে। টুইট ডিলিটের ঘটনাই সেই সংশয়ের প্রতিফলন বলে মনে করছে রাজনীতির কারবারিরা।