নিজের রাজনৈতিক জীবনের শুরুতে ভবিষ্যদ্বাণী মেলাতে পারলেন না প্রশান্ত কিশোর

November 15, 2025 | 2 min read
Published by: Ritam

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি, ১৪:১৭: মোদীকে প্রথম বার প্রধানমন্ত্রী করার ভোটের প্রচারের সময়ে প্রশান্ত কিশোর (পিকে) যে ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন, তা হুবহু মিলে গিয়েছিল। ২০২০ ডিসেম্বরেও তিনি ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন বাংলায় বিজেপি একশো পেরবে না। মিলেও ছিল তাঁর পূর্বাভাস। কিন্তু তার পাঁচ বছর পর বিহার ভোট নিয়ে প্রশান্ত কিশোরের ভবিষ্যদ্বাণী শুধু মুখ থুবড়ে পড়েছে বললেও কম বলা হবে। ভোটের আগে তিনি বলেছিলেন, “বিহারে পঁচিশের বেশি আসন পাবে না জেডিইউ। নীতীশ কুমার আর মুখ্যমন্ত্রী হবেন না।” সেই পূর্বাভাস একেবারেই মেলেনি।

প্রশান্ত কিশোর এবারের বিহার বিধানসভা ভোটে নিজের জনসুরাজ পার্টি (জেএসপি) নিয়ে ময়দানে নেমেছিলেন। তাঁকে ঘিরে প্রত্যাশাও ছিল বিপুল। কিন্তু, বাস্তবে খাতাই খুলতে পারলেন তিনি। শূন্য রানে আউট হয়ে গেলেন পিকে। বিহারের মোট ২৪৩টির মধ্যে ২৩৮ আসনে জেএসপি প্রার্থী দিয়েছিল। কিন্তু, একটিতেও জিততে পারেনি। এর মধ্যে ২৩৩টি আসনেই জেএসপি প্রার্থীর জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে।

প্রশান্ত কিশোরের এই পরাজয় কতটা শোচনীয়, তার একটা আভাস পাওয়া গিয়েছে নির্বাচন কমিশনের তথ্যে। কমিশনের পরিসংখ্যানে জেএসপির জায়গা হয়েছে ‘আদার্স’ বিভাগে। এই বিভাগের অন্তর্গত দলগুলির সম্মিলিত প্রাপ্ত ভোটের হার ১৩.৫ শতাংশ (মেরেকেটে ৩৫ লক্ষ ভোট)। সেই তুলনায় অনেক এগিয়ে বিহারের ‘বহিরাগত’ আসাদউদ্দিন ওয়েইসি এআইএমআইএম এবং মায়াবতীর বহুজন সমাজবাদী পার্টি (বিএসপি)। ২৮ আসনে প্রার্থী দিয়ে ওয়েইসির দল ২ শতাংশ ভোট পেয়ে ৫টি আসনে জয়ী হয়েছে। অন্যদিকে ১৮১টি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা বিএসপি দেড় শতাংশ ভোট পেয়ে একটি আসন জিতেছে।

এখানেই শেষ নয়। পিকে যে জেলার ভূমিপুত্র, সেই রোহতাসেও মুখ থুবড়ে পড়েছে তাঁর দল। এই জেলার সাতটি বিধানসভা আসনেই জেএসপি প্রার্থীর জামানত বাজেয়াপ্ত। পিকে’র নিজের বিধানসভা কেন্দ্র করগহরে তাঁর দল পেয়েছে মাত্র ৩ শতাংশ ভোট। অথচ বেশ ধুমধাম করেই রাজনীতিতে পা রেখেছিলেন প্রশান্ত কিশোর। ২০২২ সালের মে থেকে ২০২৪ পর্যন্ত প্রায় ৬ হাজার কিলোমিটার পদযাত্রা করে বিহারের গ্রামে-গ্রামে ঘুরেছিলেন। বিহারের রাজনীতিতে এনডিএ বনাম মহাজোটের একচেটিয়া লড়াইয়ে তৃতীয় বিকল্প হিসেবে নিজেকে এগিয়ে দিয়েছিলেন পিকে। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, এবারের ভোটে প্রশান্তর নিজে প্রার্থী না হওয়াটা তাঁর পরাজয়ের নেপথ্যে বড় ফ্যাক্টর। পিকে বরাবরই বলেছেন, তিনি স্বচ্ছ্ব রাজনীতির পক্ষে। অথচ এডিআর-এর রিপোর্ট অনুযায়ী, জেএসপির ১০৮ জন (প্রায় ৪৫ শতাংশ) প্রার্থীর বিরুদ্ধে অপরাধমূলক মামলা রয়েছে। এরমধ্যে ১০০ জনের বিরুদ্ধে রয়েছে গুরুতর অপরাধের অভিযোগ।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

ভিডিও

আরও পড়ুন

Decorative Ring
Maa Ashchen