সাংসদ সাগরিকাকে ‘অবাঙালি’ কটাক্ষ BJP-র, পাল্টা আক্রমণে গর্জে উঠল তৃণমূল

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি, ২২:৪৫: বাংলা ও বাঙালির পরিচয় ইস্যুতে তৃণমূল ও বিজেপির মধ্যে আরও তীব্র হলো টুইটযুদ্ধ। তৃণমূল সাংসদ সাগরিকা ঘোষকে কেন্দ্র করে নতুন করে চড়ছে রাজনৈতিক তাপ।
এক টুইটে বিজেপি (BJP) অভিযোগ তোলে, সাগরিকা ঘোষ (Sagarika Ghose) বাংলার সাধারণ মানুষের সমস্যার সঙ্গে যুক্ত নন এবং বাংলায় থাকেনও না, ফলে রাজ্যের বিষয়ে মন্তব্য করার নৈতিক অধিকার তাঁর নেই। আরও একধাপ এগিয়ে তাঁকে “অবাঙালি” এবং “রাজ্যসভা আসনের জন্য সাংবাদিকতা বিক্রি করেছেন” বলেও কটাক্ষ করে বিজেপি (BJP)।
বিজেপির বিরুদ্ধে পাল্টা জবাবে গর্জে ওঠে তৃণমূল। দলের বক্তব্য, বিজেপি কি তবে ঠিক করবে কে বাঙালি আর কে নয়? তৃণমূলের অভিযোগ, বিজেপি নেতা অমিত মালব্য (Amit Malviya) আগেও বাঙালি ভাষা ও সংস্কৃতি নিয়ে অপমানজনক মন্তব্য করেছেন এবং বারবার বাঙালিদের অনুপ্রবেশকারী হিসেবে দেখানোর চেষ্টা করেছেন।
তৃণমূলের দাবি, রাজনৈতিক সুবিধা হলেই বিজেপি বহিরাগতদের বাংলায় নেতা করে তোলে, আর সুবিধা না হলে বাঙালিকেও বহিরাগত বলে আক্রমণ করে। দলের অবস্থান, এই দ্বিচারী রাজনীতি বাংলার মানুষ গ্রহণ করবে না।
So now @BJP4India wants to decide who is “Bengali” and who is not?
Your UP-born @amitmalviya is the same man who insulted and questioned the Bengali language,
👉Claiming “There is, in fact, no language called Bengali”
👉Repeatedly paints Bengalis as infiltrators and… https://t.co/wDoShMvUoh pic.twitter.com/I5GoEak7QB
— All India Trinamool Congress (@AITCofficial) November 15, 2025
প্রসঙ্গত, এর আগে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী গিরিরাজ সিংয়ের (Giriraj Singh) মন্তব্যকে কেন্দ্র করে দুই দলের বাকযুদ্ধ বেঁধে যায়।
গিরিরাজ সিং (Giriraj Singh) সম্প্রতি মন্তব্য করেন যে বাংলা এখন বাংলাদেশি ও রোহিঙ্গাদের রাজ্যে পরিণত হয়েছে। এই মন্তব্যকে হাতিয়ার করে তৃণমূল (TMC) অভিযোগ তুলেছে, বিজেপি (BJP) পরিকল্পিতভাবে বাংলার মানুষ ও তাদের সাংস্কৃতিক পরিচয়কে অপমান করছে। তৃণমূলের দাবি, নির্বাচিত রাজ্য সরকারকে “বাংলাদেশি” বলার মানে প্রতিটি বাঙালিকে অপমান করা। দলের অভিযোগ, বিজেপি ঘৃণা ছড়িয়ে বাঙালিত্বকে প্রশ্নের মুখে ফেলতে চাইছে, যা বাংলার ঐতিহ্য, সংস্কৃতি ও সংবিধান প্রদত্ত নাগরিকত্বের পরিপন্থী।
তৃণমূল স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে, বঙ্গ রাজনীতিতে বিজেপির “ঘৃণা-নির্ভর” কৌশল সফল হবে না। দলের বার্তা, বাংলার মানুষ বাঙালিবিদ্বেষী রাজনীতিকে রুখে দেবে। সোশ্যাল মিডিয়ায় দলটি হ্যাশট্যাগ দিয়েছে, “বাংলাবিরোধী বিজেপি”(Bangla Birodhi BJP)।