Delhi Blast Update: পুলওয়ামা থেকে ধৃত ‘জৈশ ঘনিষ্ঠ’ ইলেকট্রিশিয়ান

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি, ২২.০০: দিল্লি বিস্ফোরণ মামলার তদন্তে নতুন মোড়। শনিবার যৌথ অভিযানে জম্মু-কাশ্মীরের পুলওয়ামা থেকে তুফাইল আহমেদ (Tufail Ahmed) নামে এক ইলেকট্রিশিয়ানকে আটক করেছে স্টেট ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি (SIA) এবং স্পেশাল অপারেশনস গ্রুপ। অভিযোগ, তাঁর সঙ্গে পাকিস্তানি জঙ্গি সংগঠন জৈশ-ই-মহম্মদের (Jaish-e-Mohammed) ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ রয়েছে।
তদন্তকারীদের সূত্রে জানা গিয়েছে, শ্রীনগরের বাসিন্দা তুফাইলকে পুলওয়ামা শিল্পাঞ্চল থেকে আটক করা হয়। কয়েক দিন ধরেই তাঁর গতিবিধির উপর নজর রাখছিল গোয়েন্দারা। প্রাথমিক তদন্তে উঠে এসেছে বেশ কিছু তথ্য, যা থেকে অনুমান করা হচ্ছে দিল্লি বিস্ফোরণের (Delhi Blast) ষড়যন্ত্রে সরাসরি যুক্ত ছিলেন তিনি। তবে তাঁর সুনির্দিষ্ট ভূমিকা এখনও প্রকাশ করেননি তদন্তকারীরা।
এর আগে কাজিগুন্ডের বাসিন্দা মুজাফ্ফর আহমেদ রাঠারের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হয়েছিল। ধৃত আদিলের দাদা মুজাফ্ফরকে জঙ্গিদের মধ্যে যোগসূত্র হিসাবে কাজ করার অভিযোগে খোঁজা হচ্ছে। তদন্তকারীদের দাবি, তিনি আফগানিস্তানে (Afghanistan) পালিয়ে গেছেন। তাঁকে ফিরিয়ে আনতে রেড কর্নার নোটিস জারির আবেদন করা হয়েছে।
১০ নভেম্বর দিল্লি বিস্ফোরণে (Delhi Blast) এখনও পর্যন্ত ১৪ জনের মৃত্যু হয়েছে, আহত প্রায় ৩০ জন। তদন্তকারীদের মতে, গোটা ঘটনার সলতে পাকানো হয়েছিল জম্মু-কাশ্মীর (Jammu and Kashmir) থেকেই। উপত্যকা জুড়ে চলছে তল্লাশি। ইতিমধ্যেই উঠে আসছে চাঞ্চল্যকর তথ্য।
জেরায় ধৃত আদিল জানিয়েছেন, অনন্তনাগ, শ্রীনগর, বারামুলা, বুদগাম ও নওগামের একাধিক হাসপাতাল ঘুরে অস্ত্র লুকিয়ে রাখার নিরাপদ জায়গা খুঁজছিল তারা। তদন্তকারীদের অনুমান, কিছু চিকিৎসকও এই ষড়যন্ত্রে জড়িত থাকতে পারেন। পাশাপাশি হামাসের কাছ থেকে প্রযুক্তিগত সহায়তা পেয়েছিল কি না, তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।