এভারগ্রীন ‘ইয়ে দিল তুম বিন কহি লাগতা নেহি’, তনুজার থেকেও বেশি নজর কেড়েছিল ধর্মেন্দ্র-জয়ললিতার রসায়ন

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি, ১৫.২৫: পঞ্চাশ বছর কেটে গেলেও বলিউডের কিছু গান এখনও নতুন প্রজন্মের হৃদয়ে জায়গা করে নেয়। সেই তালিকায় প্রথম দিকেই থাকে ১৯৬৮ সালের ছবি ‘ইজ্জত’-এর অমর রোম্যান্টিক গান ‘ইয়ে দিল তুম বিন কহি লাগতা নেহি’। লতা মঙ্গেশকর ও মহম্মদ রফির কণ্ঠে গাওয়া এই গান এখনও সোশ্যাল মিডিয়ার সব জায়গায় সমান জনপ্রিয়।
তবে এই ছবিকে কেন্দ্র করে যে আলোচনা সেই সময়ে সবচেয়ে বেশি হয়েছিল, তা গান নিয়ে নয়। আলোচনার কেন্দ্রে ছিলেন ধর্মেন্দ্র ও জয়ললিতা।
ধর্মেন্দ্র-তনুজার জুটি বলিউডে (Bollywood) বরাবরই খ্যাত। ইজ্জত-এও তাঁদের কেমিস্ট্রি প্রশংসা কুড়িয়েছিল। কিন্তু ছবিতে আরও এক নায়িকা ছিলেন-জয়ললিতা (Jayalalithaa)। সেই জয়ললিতা, যিনি পরে দক্ষিণ ভারতীয় রাজনীতির নিরঙ্কুশ নেত্রী হয়ে ‘আম্মা’ নামে তামিলনাড়ু শাসন করেন তিন দফায়।
তবে অল্প বয়সের জয়ললিতা বলিউডে সুযোগ পেয়েছিলেন মাত্র একবারই। ‘ইজ্জত’ ছিল তাঁর প্রথম এবং শেষ হিন্দি ছবি যেখানে তিনি পূর্ণাঙ্গ চরিত্রে অভিনয় করার সুযোগ পান। তনুজার (Tanuja) চরিত্র দীপার তুলনায় জয়ললিতার ঝুমকির সঙ্গে ধর্মেন্দ্রর স্ক্রিন কেমিস্ট্রি নিয়েই তখন বলিউডে সবচেয়ে বেশি আলোচনা হয়।
ছবির সবকটি গান লিখেছিলেন শাহির লুধিয়ানভি (Sahir Ludhianvi)। শব্দচয়নের সৌন্দর্যের জন্য তাঁর লিরিককে অনেকেই কবিতা বলে উল্লেখ করেন। সুর দিয়েছেন লক্ষ্মীকান্ত প্যারেলাল (Laxmikant–Pyarelal)। ধর্মেন্দ্রর লিপে সব গানই গেয়েছিলেন মহম্মদ রফি (Mohammed Rafi)। অন্যদিকে মেহমুদের লিপে গান গেয়েছিলেন মান্না দে (Manna Dey)।
‘ইয়ে দিল তুম বিন কহি লাগতা নেহি’ আজও চিরসবুজ। রোম্যান্সের সহজ-সরল প্রকাশ এই গানটিকে সময়ের সীমানা ছাড়িয়ে দিয়েছে।
ডবল রোলে ধর্মেন্দ্র, দুই জীবনের গল্প। ছবির কাহিনি ছিল দুলাল গুহর লেখা। তাঁর গল্পের ভিত্তিতেই চিত্রনাট্য তৈরি করেন রাজেন্দ্র সিং বেদী। এখানে ধর্মেন্দ্র দু’টি ভূমিকায়, শেখর: আদিবাসী পরিবারের ছেলে, দিলীপ সিং: জমিদার পরিবারের সন্তান।
দিলীপের পরিচয় নিয়ে শেখর প্রেমে পড়ে দীপার, অর্থাৎ তনুজার। আবার নিজের আসল পরিচয়ে তাঁর সম্পর্ক গড়ে ওঠে আদিবাসী মেয়ে ঝুমকির সঙ্গে, যার ভূমিকায় ছিলেন জয়ললিতা।
বাণিজ্যিকভাবে ইজ্জত খুব বড় সাফল্য পায়নি। কিন্তু ছবির গান, বিশেষ করে রফি-লতা কণ্ঠের রোম্যান্টিক ট্র্যাকগুলো সময়ের সঙ্গে আরও জনপ্রিয় হয়েছে। আজ অনেকে সিনেমাটা ভুলে গেলেও গানগুলো এখনও পুরনো স্মৃতিতে ফিরে আসে বারে বার।