‘বীরু’ নেই, শূন্যতায় ‘জয়’, ধর্মেন্দ্রকে নিয়ে রাত ২টায় অমিতাভের হৃদয়বিদারক লেখা

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি, ১৩:৫০: মুম্বইয়ের ভিলে পার্লে শ্মশানে সোমবার যেন ফুটে উঠেছিল এক অমর বন্ধুত্বের ছবি। বহু দশক ধরে দর্শকের হৃদয়ে জায়গা করে নেওয়া ‘জয়–বীরু’র সেই কিংবদন্তি জুটি এদিন আরও একবার স্মরণ করাল অমিতাভ বচ্চনের বুকভাঙা শোক। ধর্মেন্দ্রকে শেষবারের মতো বিদায় জানিয়ে ফিরে এসে গভীর রাতে ব্লগে যেভাবে ভেঙে পড়লেন বিগ বি, তাতে স্পষ্ট—বন্ধুর মৃত্যু তাঁকে ভেতর থেকে নাড়া দিয়েছে।
রাত ২.২৫ মিনিটে লেখা সেই পোস্টে অমিতাভ লিখলেন, আরেক সাহসী মানুষ মঞ্চ ছেড়ে চলে গেলেন। তাঁর তৈরি করা নীরবতা অসহনীয়। ধর্মজি শুধু বড় অভিনেতা নন, ছিলেনএমন একজন যার নম্রতা, সরলতা ও চার্ম ইন্ডাস্ট্রিতে আজও বিরল। পঞ্জাবের মাটির গন্ধ নিয়ে যে মানুষটি বলিউডে পা রেখেছিলেন, দশকের পর দশক কেটে গেলেও সেই স্বাদ কখনও বদলায়নি। বদলে গিয়েছে সময়, পাল্টেছে ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির পরিবেশ—তবু ধর্মেন্দ্রর ব্যক্তিত্ব, ভরসা জাগানো চরিত্র অনুভূতি আজও অমলিন।
অমিতাভ আগেও বলেছেন—যখনই কোনও সিদ্ধান্তে দ্বিধায় পড়েছেন, ছুটে গিয়েছেন ধর্মেন্দ্রর কাছে। বয়সে বড়, অভিজ্ঞতায় সমৃদ্ধ বন্ধুর পরামর্শ তাঁর কাছে ছিল অমূল্য। সে বন্ধুত্বই আজ চিরন্তন হয়ে রইল বিদায়ের যন্ত্রণায়।
সোমবার দুপুরে ছেলে অভিষেক ও নাতি অগস্ত্যকে নিয়ে শ্মশানে হাজির ছিলেন বিগ বি। জীবনের শেষ ছবি ‘ইক্কিস’-এ অগস্ত্যের বাবার চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন ধর্মেন্দ্র—‘শোলে’ থেকে ‘ইক্কিস’, যেন বন্ধুত্বের বৃত্ত সম্পূর্ণ হল এদিন।
বন্ধু বিদায় নিলেন, কিন্তু অমর হয়ে রইল তাঁদের ‘ইয়ে দোস্তি’।