“BJP-র কথায় চলছে নির্বাচন কমিশন”, মতুয়াগড়ে দাঁড়িয়ে তোপ মমতার

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি, ১৪:৪৫: হেলিকপ্টারের লাইসেন্স নিয়ে সমস্যা হওয়ায় সড়কপথে বনগাঁর ত্রিকোণ পার্কের সভাস্থলে পৌঁছন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কপ্টার জটিলতা নিয়ে বিজেপিকে তোপ দাগেন মমতা। তৃণমূল সুপ্রিমো বলেন, “আমার আসতে দেরি হয়েছে। ক্ষমা চাইছি। আমি ৭-৮ মাস কপ্টার ব্যবহার করি না। গাড়িতে গাড়িতে ঘুরি। আমাদের সরকারের একটা হেলিকপ্টার নেওয়া আছে। হঠাৎ খবর এল হেলিকপ্টারটা যাবে না। আমি দেখলাম দারুণ মজার খবর। ভোটই শুরু হল না, দ্বন্দ্ব শুরু হয়ে গেল। একদিকে ভালই হয়েছে রাস্তায় আসতে আসতে আমার জনসংযোগ হয়ে গেল।” এরপরই মমতার হুঁশিয়ারি, “আমি বিজেপিকে বারবার বলি আমার সঙ্গে খেলতে যাস না। আমার সঙ্গে খেলতে গেলে আমি যে খেলাটা খেলব, ধরতেও পারবে না। ছুঁতেও পারবে না।”
এরপরই SIR ইস্যুতে কমিশন ও বিজেপিকে এক যোগে তোপ দাগেন মমতা। তিনি বলেন, “বিজেপির কথায় চলছে নির্বাচন কমিশন।” তিনি আরও বলেন, “আমরা বলিনি এসআইআর করতে হবে না। আমরা বলেছি কোনও বৈধ ভোটারের নাম যেন বাদ না যায়। এসআইআর করতে ৩ বছর সময় লাগে। আপনারা ২ মাসে করতে চাইছেন। আমাকেও সময় দিয়ে আধার কার্ড করতে হয়েছে। এখনও বলছে লাগবে না।”
SIR আতঙ্কে মৃত্যু নিয়ে সরব হন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, “এসআইআর আতঙ্কে ৩৫-৩৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। ১০ জন বিএলও হাসপাতালে ভর্তি। কৃষ্ণনগরে রিঙ্কু মৃত্যুর আগে চিঠি লিখে গিয়েছে। লিখেছে আমার মৃত্যুর জন্য নির্বাচন কমিশন দায়ী। তাহলে কার কথায় চলছে? ইন্টারনেট নেই। হোয়াটসঅ্যাপ নেই। রামের জায়গায় শ্যাম চলে যাচ্ছে। ড্রাফ্ট লিস্ট বেরলে বুঝতে পারবেন কী হয়।”
মতুয়া সার্টিফিকেট নিয়েও মমতা আক্রমণ শানান, তাঁর কথায়, “আপনাদের প্রতারণা করছে, এর বড় শাস্তি হওয়া উচিত। কমিশনের নথির তালিকায় লিখতে বলুন। ওই সার্টিফিকেটে লিখে দিচ্ছে আপনি কিন্তু বাংলাদেশে ছিলেন। ম্যাপিং করছে ২০০২ সালে। সংঘের সার্টিফিকেট দিচ্ছে ২০২৫ সালের নভেম্বর-ডিসেম্বরে। মানে প্রমাণ করে দিচ্ছে আপনি বাংলাদেশে ছিলেন। রামকৃষ্ণ মিশনও সার্টিফিকেট দেয়, তাতে লেখা থাকে না আপনি কোন দেশের নাগরিক।”
তাঁর কথায় উঠে আসে বাংলা ও বাঙালি প্রসঙ্গও। তাঁর কথায়, “বাংলা ভাষায় কথা বললেই বাংলাদেশি? দেশ হিসাবে বাংলাদেশকে ভালোবাসি। কারণ আমাদের ভাষা এক। যাঁরা বাংলাদেশি তাঁরা বাংলায় কথা বলে অভ্যস্ত, হঠাৎ কী করে বদলাবে? বীরভূমে জন্মেছি নইলে আমাকেও বাংলাদেশি বলে দিত। বৈধ ভোটারের কোনও ভয় নেই। ভয় পাবেন না। বিজেপি ভয় দেখিয়ে প্রচার করছে। আমি থাকতে কারও গায়ে হাত দিতে দেব না।”