ইনিউমারেশন ফর্মের ডিজিটাইজেশন পর্বেই বাদ ২৮ লক্ষ ভোটার! আরও বাড়বে সংখ্যা?

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি, ০৯:১৫: ইনিউমারেশন ফর্মগুলির ডিজিটাইজেশনের কাজ চলছে। খসড়া তালিকা থেকে কতজন ভোটারের নাম বাদ পড়তে চলেছে, তা নিয়ে তুঙ্গে চর্চা। কমিশন সূত্রে খবর, আপাতত যে পরিমাণ ফর্ম ডিজিটাইজড হয়েছে, তার সঙ্গে প্রায় ২৮ লক্ষ ভোটারের তথ্য ম্যাপিং হয়নি। অর্থাৎ ২০০২ সালের তালিকার সঙ্গে ২০২৫ সালের তালিকার মিল পাওয়া যায়নি। তার মধ্যে প্রায় ৯ লক্ষ মৃত ভোটার। বাকিদের হদিশ নেই। মনে করা হচ্ছে, ২৮ লক্ষ ভোটারের নাম বাদ যাওয়া কার্যত নিশ্চিত।
কমিশন সূত্রে খবর, বুধবার পর্যন্ত বাংলায় ৭৮.৪২ শতাংশ ফর্ম ডিজিটাইজেশনের কাজ শেষ হয়েছে। কমিশনের তথ্য অনুযায়ী, প্রায় ৯ লক্ষ মৃত ভোটারের খোঁজ মিলেছে। তাঁদের নাম বাদ যাচ্ছেই। বাকি ১৯ লক্ষ ভোটারকে ‘ডুপ্লিকেট’, ‘শিফটেড’ অর্থাৎ স্থানান্তরিত ও ‘অ্যাবসেন্ট’ বা অনুপস্থিত ভোটার হিসেবে চিহ্নিত করেছে কমিশন। মনে করা হচ্ছে, খসড়া তালিকা থেকে মোট ২৮ লক্ষ ভোটারের নাম বাদ পড়ছে।
তবে বাদ পড়ার সংখ্যা আরও বাড়বে। ডিজিটাইজেশনের কাজের শেষ পর্যায়ে বিষয়টি আরও স্পষ্ট হবে। কতজন ভোটারের ম্যাপিং ও ম্যাচিং হল না, ৪ ডিসেম্বর প্রক্রিয়া শেষের পর নিশ্চিত হওয়া যাবে। বাদ পড়া নামগুলির তালিকা পঞ্চায়েত অফিস, বিডিও অফিস এবং জেলাশাসকের দপ্তরে টাঙিয়ে দেওয়া হবে। কারও নাম ভুলবশত বাদ গিয়েছে মনে হলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি AERO, ERO বা জেলা নির্বাচনী আধিকারিকের সঙ্গে যোগাযোগ করে অভিযোগ জানাতে পারবেন।
রাজ্যে প্রায় ৩৪ লক্ষ মৃত ব্যক্তির আধার নম্বর কমিশনকে দিয়েছে আধার কর্তৃপক্ষ। এছাড়াও কমিশনকে আধার কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, বাংলায় ১৩ লক্ষ মানুষের আধার কার্ড নেই। শুধু আধার কর্তৃপক্ষই নয়, রাজ্যের সমস্ত সরকারি ও বেসরকারি ব্যাংকের কাছ থেকেও তথ্য সংগ্রহ করছে কমিশন। রাজ্য সরকারের বিভিন্ন প্রকল্প, যেমন বিধবা ভাতা ও সমব্যথীর মতো প্রকল্পে আবেদনকারীদের তথ্যও লিপিবদ্ধ করেছে কমিশন। ফর্ম সংগ্রহ না-হওয়ার সমস্যাও আছে। কলকাতায় ৩০ শতাংশের কাছাকাছি ফর্ম এখনও সংগ্রহ করা যায়নি বলে খবর।