IMF-এর কম গ্রেডের পরই ৮.২% GDP ঘোষণা! কেন্দ্রের পরিসংখ্যান নিয়ে উঠছে প্রশ্ন
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি, ২০:৪৫: আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (IMF) সাম্প্রতিক বার্ষিক মূল্যায়নে ভারতের ন্যাশনাল অ্যাকাউন্টস পরিসংখ্যানকে ‘C’ গ্রেড দেওয়া হয়েছে- যা চারটি গ্রেডের মধ্যে দ্বিতীয় সর্বনিম্ন। অর্থাৎ, দেশের জাতীয় হিসাব সংক্রান্ত ডেটায় কাঠামোগত দুর্বলতা রয়েছে এবং তা আন্তর্জাতিক মানের তুলনায় পিছিয়ে। ঠিক দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকের জিডিপি প্রকাশের প্রাক্কালে এই মূল্যায়ন কেন্দ্রীয় সরকারকে স্পষ্টতই অস্বস্তির মুখে ফেলেছে। এর কিছুক্ষণ পরই প্রকাশিত হয় চলতি অর্থবর্ষের জুলাই–সেপ্টেম্বর ত্রৈমাসিকের জিডিপি বৃদ্ধির হার, যা দাঁড়িয়েছে ৮.২ শতাংশে। তাই সরকারি GDP–র অঙ্ক নিয়ে নতুন করে বিতর্ক শুরু হয়েছে।
অর্থনীতিবিদদের একাংশের মতে, নতুন প্রকাশিত GDP–র ধারাবাহিকতা এখনও হতাশাজনক। বিশেষ করে গ্রস ফিক্সড ক্যাপিটাল ফরমেশন (Gross Fixed Capital Formation) বা স্থায়ী মূলধনী গঠনে কোনও উল্লেখযোগ্য ঊর্ধ্বগতি দেখা যাচ্ছে না। তাঁদের আশঙ্কা, বেসরকারি বিনিয়োগে গতিশীলতা না থাকলে উচ্চ হারে GDP বৃদ্ধি দীর্ঘমেয়াদে টিকিয়ে রাখা সম্ভব নয়। বর্তমান পরিসংখ্যানে সেই পুনরুজ্জীবনের কোনও স্পষ্ট ইঙ্গিত মিলছে না বলেই মত তাঁদের।
এছাড়াও বিতর্ক সৃষ্টি করেছে GDP ডিফ্লেটর–সংক্রান্ত হিসাব। সরকারি গণনায় মুদ্রাস্ফীতি মাত্র ০.৫% ধরা হয়েছে, যা GDP ডিফ্লেটরকে অস্বাভাবিকভাবে নিচে নামিয়েছে। অর্থনীতিবিদদের বক্তব্য, এই হিসাব বাস্তব পরিস্থিতির সঙ্গে সম্পূর্ণ অসঙ্গত, কারণ দেশজুড়ে কোটি পরিবার প্রতিদিনের নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের লাগামছাড়া মূল্যবৃদ্ধির চাপ সামলাতে হিমশিম খাচ্ছেন। তাঁদের মতে, বাজারদর ও সরকারি ডিফ্লেটর, দুইয়ের মধ্যে তীব্র ফারাক থেকে পরিসংখ্যানের বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।
সরকার উচ্চ GDP বৃদ্ধির হারকে সাফল্যের প্রচার হিসেবে তুলে ধরলেও বিশেষজ্ঞদের সতর্ক বার্তা, বাস্তব বিনিয়োগ বৃদ্ধি, কর্মসংস্থান এবং মূল্যস্ফীতির নির্ভুল প্রতিফলন ছাড়া এই বৃদ্ধিকে টেকসই বলা যায় না। IMF–এর সাম্প্রতিক মূল্যায়ন এবং দেশে প্রকাশিত পরিসংখ্যানের অমিল সেই উদ্বেগ আরও উসকে দিয়েছে।