বিল নিয়ে বলতে বলতে বাংলাকে অপমানের অভিযোগ, নির্মলার বিরুদ্ধে সরব তৃণমূল
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি, ১২:২২: বিল নিয়ে বলতে বলতে বাংলাকে অপমান! অভিযোগ, রাজ্যসভায় এক্সাইজ বিলের সংশোধনী নিয়ে কথা বলার সুযোগে বাংলার বদনাম করলেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। সেন্ট্রাল এক্সাইজ সংশোধনী বিল নিয়ে বলতে উঠে বাংলা নিয়ে মিথ্যাচার করে সভাকে বিভ্রান্ত করার অভিযোগ উঠল তাঁর বিরুদ্ধে। রাজ্যসভার চেয়ারম্যান সিপি রাধাকৃষ্ণনকে এই বিষয়ে চিঠি দিচ্ছে তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদরা।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় রাজ্যসভায় বাংলা প্রতি বঞ্চনার অভিযোগ নস্যাৎ করে তৃণমূলকে প্রবল আক্রমণ করেন নির্মলা সীতারামন। তাঁর দাবি, ২০১৪ সাল থেকে বাংলাকে কেন্দ্র বিপুল অর্থ বরাদ্দ করেছে। টাকা ব্যয়ে স্বচ্ছতা দেখায়নি রাজ্য সরকার। তৃণমূল সরকারের আমলে রাজ্য থেকে শিল্প সংস্থাগুলি চলে যাচ্ছে, বলে দাবি করেন অর্থমন্ত্রী। তূণমূল সাংসদেরা প্রতিবাদে ফেটে পড়েন। বাংলার শাসক দলের সাংসদেরা বলেন, দেশের একজন অর্থমন্ত্রী রাজ্যসভাকে রাজনৈতিক মঞ্চ হিসেবে কেন ব্যবহার করছেন? নির্মলার বক্তব্যগুলির মধ্যে সত্যতা নেই। নির্মলা দাবি করেন, তথ্য প্রমাণ আছে। রাজ্যসভার কাছে জমা দেবেন তিনি। সত্য-মিথ্যা প্রমাণ হয়ে যাবে।
এক্সাইজ বিলের পরিবর্তে লাগাতার বাংলার জন্য কেন্দ্র কী কী দিয়েছে এবং রাজ্য সরকার কীভাবে বাংলার সর্বনাশ করছে তার ফিরিস্তি দিতে থাকেন নির্মলা। খোদ রাজ্যসভার চেয়ারম্যানও তাঁকে থামানোর চেষ্টা করেন। বলেন, বিল নিয়ে বলুন। বিলের বিষয়ে সীমাবদ্ধ থাকুন।
১০০ দিনের কাজ থেকে বিভিন্ন কেন্দ্রীয় প্রকল্পে কীভাবে কেন্দ্র বাংলার টাকা আটকে রেখেছে তা উল্লেখ করে রাজ্যসভার সাংসদ সাগরিকা ঘোষ মন্ত্রীর কাছে জবাব চেয়েছিলেন। অর্থমন্ত্রী উত্তরে বলেন, ট্যাক্সের ভাগ বাবদ বাংলাকে গত ১০ বছরে ৫ লক্ষ ৯০ হাজার কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে। তাঁর দাবি, ২০১৫ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত ৫৪ হাজার কোটি টাকার বেশি ১০০ দিনের কাজে দেওয়া হয়েছে। তৃণমূল সাংসদেরা বলেন, বাংলার জন্য একটি ছোট কারখানা বা শিল্প প্রকল্প মোদী সরকার করেছে, তার প্রমাণ দিতে পারবেন না অর্থমন্ত্রী। এতগুলো বাজেট হয়ে গেল, বাংলার প্রাপ্তি নগণ্য! বাংলা থেকে পরাজিত হওয়ার প্রতিশোধ নিচ্ছে কেন্দ্র। প্রবল তর্কবিতর্কের পর রাজ্যসভা থেকে ওয়াক আউট করে তৃণমূল। রাজ্যসভার তৃণমূলের নেতা ডেরেক ও ব্রায়ান পয়েন্ট অফ অর্ডার দিতে চেয়েও প্রত্যাখ্যাত হন। চেয়ারম্যানকে চিঠি দিয়ে আজ অভিযোগ জানাবে তৃণমূল। অন্যদিকে, অর্থমন্ত্রীর বিরুদ্ধে মিথ্যাচারের অভিযোগ এনে সরব হয়েছেন লোকসভার তৃণমূল সাংসদ কাকলি ঘোষদস্তিদার।