‘বাংলা বললে বাংলাদেশে, তবে হিন্দি-উর্দু বললে পাকিস্তানে নয় কেন?’ পুশব্যাক ইস্যুতে সংসদে সওয়াল শতাব্দীর

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি, ২১.৩০: ভিনরাজ্যে বাংলা ভাষায় কথা বললেই মিলছে ‘বাংলাদেশি’ তকমা। বৈধ নথিপত্র থাকা সত্ত্বেও জোর করে পুশব্যাক করা হচ্ছে বাংলাদেশে (Bangladesh)। দীর্ঘদিনের এই অভিযোগ নিয়ে এবার লোকসভায় সরব হলেন বীরভূমের তৃণমূল সাংসদ শতাব্দী রায় (Satabdi Roy)। শুক্রবার সংসদে দাঁড়িয়ে তাঁর প্রশ্ন, “বাংলা ভাষায় কথা বললে যদি বাংলাদেশে পাঠিয়ে দেওয়া হয়, তবে হিন্দি বা উর্দু ভাষায় কথা বললে কেন পাকিস্তানে পাঠানো হবে না?” সাংসদের এই মন্তব্য ঘিরে এদিন তুমুল হট্টগোল শুরু হয় লোকসভা অধিবেশন কক্ষে।
শুক্রবার সংসদে দাঁড়িয়ে বাংলাতেই নিজের বক্তব্য পেশ করেন শতাব্দী রায়। তিনি অভিযোগ করেন, পশ্চিমবঙ্গের মালদহ, মুর্শিদাবাদ, দক্ষিণ ২৪ পরগনা এবং বীরভূমের মতো জেলার বাসিন্দারা, যাঁরা ভিনরাজ্যে শ্রমিকের কাজ করতে যাচ্ছেন, তাঁদের চরম হেনস্তার শিকার হতে হচ্ছে। বাংলা ভাষা শুনলেই তাঁদের গায়ে ‘বাংলাদেশি’ (Bangladeshi) তকমা সেঁটে দেওয়া হচ্ছে।
বক্তব্যের সপক্ষে প্রমাণ দিতে গিয়ে এদিন বীরভূমের সোনালি বিবির (Sonali Bibi) প্রসঙ্গ উত্থাপন করেন শতাব্দী। তিনি বলেন, “বীরভূমের ওই অন্তঃসত্ত্বা মহিলার কাছে ভারতীয় নাগরিকত্বের সমস্ত বৈধ নথি থাকা সত্ত্বেও তাঁকে ও তাঁর পরিবারকে জোর করে পুশব্যাক করা হয়েছে। এমন ঘটনা একটা নয়, বারবার ঘটছে।”
সাংসদ যখন এই বিষয়গুলি তুলে ধরছিলেন, তখন বারবার তাঁকে থামিয়ে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। অধ্যক্ষ বারবার প্রশ্ন করেন, “আপনি কী বলতে চাইছেন?” এই সময় শতাব্দীর সমর্থনে এগিয়ে আসেন কৃষ্ণনগরের সাংসদ মহুয়া মৈত্র। তিনিও সতীর্থের সুরে সুর মিলিয়ে একই প্রশ্ন তোলেন। অধ্যক্ষের বাধার মুখে পড়ে তৃণমূল সাংসদরা ওয়েলে নেমে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। স্লোগান-পাল্টা স্লোগানে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে কক্ষ।
তুমুল হই-হট্টগোলের পর শতাব্দীকে ফের বলার অনুমতি দেন অধ্যক্ষ। তখনই ঝাঁঝালো সুরে শতাব্দী প্রশ্ন তোলেন, “যদি বাংলা বললে বাংলাদেশে পুশব্যাক করা হয়, তাহলে হিন্দি বা উর্দু বললে পাকিস্তানে পাঠানো হবে না কেন?”
Lok Sabha MP @SatabdiRoyMP’s Zero Hour mention on Bengali migrant workers being harassed across the country for speaking in Bengali pic.twitter.com/IvtCBBNNkM
— AITC in Parliament (@AITC_Parliament) December 5, 2025