বারংবার দলবদল থেকে মেরুকরণের রাজনীতি! মুর্শিদাবাদের মানুষ বিরক্ত হুমায়ুনের উপর

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি, ১০:৫০: মুর্শিদাবাদের বেলডাঙা—শুক্রবার রাত থেকেই সাজো সাজো রব। সদ্য তৃণমূল থেকে সাসপেন্ড হওয়া বিধায়ক হুমায়ুন কবীরের উদ্যোগে মসজিদ শিলান্যাস ঘিরে টানটান উত্তেজনা। মরাদিঘি মোড়ের বিশাল মাঠে চলছে জোর প্রস্তুতি, আর সেই সঙ্গে আদালতের নির্দেশ মেনে নিরাপত্তায় নেমেছে পুলিশ–প্রশাসন। শুক্রবার রাত সাড়ে ৯টা পর্যন্ত মঞ্চ বাঁধার কাজ চলেছে। নজরদারিতে কুইক রেসপন্স টিম, র্যা ফ, ভিলেজ পুলিশ থেকে মহিলা কনস্টেবল—সবাই। মাঠের চারপাশে টহল গোয়েন্দা বিভাগের আধিকারিকদেরও।
আর যাকে নিয়ে এত কাণ্ড, সেই হুমায়ুন বারবার দলবদল করেছেন। মেরুকরণের রাজনীতি। উসকানিমূলক ও বিতর্কিত চোখা চোখা কথা বলে সংবাদমাধ্যমে ভেসে থাকার চেষ্টা করেন। কখনও পুলিশ-প্রশাসন, কখনও দলের নেতাদের আক্রমণ করে কুকথার ফুলঝুরি। অভিযোগ, প্রতিবারই তাঁর মূল টার্গেট থাকে ব্যক্তিগত স্বার্থসিদ্ধি। আর এবার তো একেবারে বাবরি মসজিদ গড়ার ‘সংকল্প’। সবমিলিয়ে ভরতপুরের বিধায়ক হুমায়ুন কবীরের দ্বিচারিতার ঘটনায় প্রবল তিতিবিরক্ত মুর্শিদাবাদ। অন্যদিকে, বিজেপিকে তোল্লাই দিতেই হুমায়ুনের এহেন তৎপরতা বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
ভোট আসলেই হুমায়ুন কবীর দলবদল করেন বলে একের পর এক তথ্য ও ছবি তুলে ফেসবুকে পোস্ট করছেন মুর্শিদাবাদের বাসিন্দারাই। বিজেপি নেতাদের সঙ্গে হুমায়ুনের ছবি তো রীতিমতো ভইরাল। এর আগে কংগ্রেস ছেড়ে প্রথমে তৃণমূল, পরে বিজেপিতে যোগ দেন। বিজেপি প্রার্থী হিসাবে লোকসভা ভোটেও লড়ে গোহারা হন। আবারও তৃণমূলে ফিরে আসেন। রাজনৈতিক বংবদলের ঘটনায় প্রবল বিরক্ত মুর্শিদাবাদের ভোটাররা বিষয়টিকে যে গুরুত্ব দিচ্ছেন না তা শুক্রবার স্বীকার করেছেন কংগ্রেস। সিপিএম ও তৃণমূল নেতারা।